—প্রতীকী ছবি।
মাটি খুঁড়লেই হিরের খনি! তবে লক্ষ কোটি টাকা মূল্যের হিরে জমা রয়েছে ঠিকই, কিন্তু এ যে মাটির গভীর থেকে বার করে আনার পথ এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি। অতিরিক্ত তাপমাত্রা থাকার কারণে নাকি সেই গভীরতায় পৌঁছনোর কারও সাধ্যি নেই।
চিনের বেজিংয়ে সেন্টার ফর হাই-প্রেসার সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি অ্যাডভান্সড রিসার্চের এক বিজ্ঞানী ইয়ানহাও লিং এবং তাঁর সহকর্মীরা এক গবেষণাপত্রে জানিয়েছেন, সৌরজগতে এমন একটি গ্রহ রয়েছে, যার অভ্যন্তরে রয়েছে হিরের পুরু পাত। ইয়ানহাওয়ের মতে, পৃথিবীর চেয়ে অনেকটা কম পরিমাণে হলেও বুধ গ্রহে চৌম্বকক্ষেত্রের উপস্থিতি রয়েছে। চৌম্বকক্ষেত্রের পাশাপাশি সেখানকার উচ্চ তাপমাত্রা এবং উচ্চ চাপ থাকার কারণে কার্বনের উপস্থিতিও অচিন্তনীয়। সেই তাপমাত্রা এবং চাপে গ্রাফাইটে পরিণত হয়ে যায় কার্বন।
বিজ্ঞানীদের দাবি, লাভার সমুদ্র ধীরে ধীরে ঠান্ডা হয়ে শক্ত হয়ে যায়। বুধ গ্রহের প্রায় ৪৮৫ কিলোমিটার গভীরে হিরের একটি মোটা পাতের উপস্থিতির সম্ভাবনা রয়েছে। এই পাতটি ১৫ কিলোমিটার পুরু হতে পারে বলে জানিয়েছেন ইয়ানহাও। তবে উচ্চ তাপমাত্রার কারণে সেই হিরে খনন করা যাওয়া অসম্ভব বলে মত বিজ্ঞানীদের।