ছবি: সংগৃহীত।
নিছকই মজার ছলে এমআরআই বা ‘ম্যাগনেটিক রেজ়োন্যান্স ইমেজিং’ যন্ত্রে ঢুকেছিলেন। ফলাফল প্রকাশ্যে আসতেই চমকে যান মহিলা। জানতে পারেন এক চরম সত্যের কথা। মানুষের শরীরে অনেক রোগই জানান দিয়ে আসে না। ধীরে ধীরে প্রকাশ পায়। সমস্যা তৈরি করে শরীরে। অনেকে আবার শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত বুঝতে পারেন না যে শরীরে বাসা বেঁধেছে কোনও মারণরোগ। তেমনটাই হয়েছিল ওই মহিলার ক্ষেত্রেও। নিছকই মজার ছলে এমআরআই করিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু রিপোর্ট হাতে পেয়ে হতবাক হয়ে যান।
সংবাদমাধ্যম ‘নিউ ইয়র্ক পোস্ট’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই মহিলার নাম সারা ব্ল্যাকবার্ন। সমাজমাধ্যমে সারা জানিয়েছেন, তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ বোধ করছিলেন অনেক দিন ধরে। ঘুমও ভাল হচ্ছিল। জীবনযাপনও ছিল নিয়মের আওতায়। কিন্তু হঠাৎ করেই মজা করতে এমআরআই করার সিদ্ধান্ত নেন সারা।
পরিকল্পনামাফিক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গপ্রত্যঙ্গের এমআরআই স্ক্যান করান সারা। ঘণ্টাখানেক ধরে নানা পরীক্ষা করান তিনি। খরচও করেন বহু টাকা। সারা এক প্রকার নিশ্চিতই ছিলেন যে, তাঁর রিপোর্ট ভালই আসবে। কিন্তু চার দিন পর রিপোর্ট হাতে পেয়ে হতবাক হয়ে যান তিনি। কান্না পেয়ে যায় তাঁর। কিন্তু কেন?
রিপোর্টের লেখা ছিল, ‘স্প্লেনিক আর্টারি অ্যানিউরিজ়ম’ রোগে আক্রান্ত সারা। এমন একটি রোগ, যেখানে প্লীহায় রক্ত সরবরাহকারী ধমনীগুলি ফুলে যায়। চিকিৎসকেরা তাঁকে অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দেন। সফল অস্ত্রোপচারের পরবর্তী দু’মাস খুবই যন্ত্রণার মধ্যে কাটে সারার। কিন্তু অবশেষে তিনি সুস্থ হয়ে উঠেছেন বলে খবর।