—প্রতীকী ছবি।
বাবা-মা, স্ত্রী, সাত সন্তান এবং ছোট ভাইবোন নিয়ে সংসার মধ্যপ্রদেশের শ্রমিক রাজু গোন্ডের। সংসারের খরচ চালাতে কখনও খেতে কাজ করেছেন, কখনও বা ট্রাক্টর চালিয়েছেন। প্রতি দিন ৩০০ টাকার কাছাকাছি উপার্জন ছিল তাঁর। কিন্তু এত বড় পরিবারের খরচ সামলানো কঠিন হয়ে পড়ছিল রাজুর পক্ষে। পাঁচ লক্ষ টাকা ধারও নিয়ে ফেলেছিলেন তিনি। শেষে সরকারের কাছ থেকে একটি জমি লিজ় নেন তিনি। ভাই রাকেশের সঙ্গে সেই জমিতে খোঁড়াখুঁড়ি করতে শুরু করেন রাজু।
জমি খোঁড়ার সময় একটি চকচকে পাথর খুঁজে পান রাজু। পাথরে লেগে থাকা ধুলোবালি ঝেড়ে তো তাঁদের চক্ষু চড়কগাছে! এ তো যে সে পাথর নয়। রাজুর হাতের তালুতে তখন ইয়া বড় হিরে। মনের আনন্দে ভাইকে নিয়ে সোজা বাড়ি চলে যান তিনি। বাড়ি থেকে মাকে সঙ্গে নিয়ে চলে যান হিরের মান যাচাইকারী সংস্থার অফিসে। সেখানে হিরের মান পরীক্ষার পর রাজু জানতে পারেন, তিনি যে রত্ন খুঁজে পেয়েছেন তার ওজন ১৯.২ ক্যারাট। এই হিরের বাজারমূল্য ৮০ লক্ষ টাকার কাছাকাছি।
শর্তানুযায়ী, লিজ় নেওয়া জমি খুঁড়তে গিয়ে কোনও রত্ন খুঁজে পেলে প্রাপ্য মূল্যের সাড়ে ১১ শতাংশ-সহ কিছু পরিমাণ কর সরকারকে দিতে হবে। বাকি টাকা পাবেন রাজু। সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রাজু বলেন, ‘‘টাকা পাওয়ার পর সবার আগে ঋণ শোধ করব। তার পর নিজেদের বাড়ি তৈরি করব। বাচ্চাদের ভাল স্কুলে ভর্তি করাব।’’ রাজুর চোখে স্বপ্ন হাজার হাজার। হিরে বিক্রির মূল্য দিয়েই সেই সব স্বপ্ন পূরণ করবেন তিনি।