ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে নেওয়া।
রাতের তাপমাত্রা নেমেছে ১২ ডিগ্রিতে। তার মধ্যেই হাত-পা বেঁধে কনকনে ঠান্ডা জলে স্নান করিয়ে তরুণ পড়ুয়ার জন্মদিন উদ্যাপন করলেন তাঁর হস্টেলের বন্ধুরা! এর পর চেয়ারে বেঁধে খালি গায়ে তাঁকে ঠান্ডার মধ্যেই বসিয়ে রাখা হল বেশ কিছু ক্ষণ। মুখ জুড়ে লিপস্টিক এবং পাউডারও মাখানো হল। হস্টেলের মধ্যে জন্মদিন পালনের সেই ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই হইচই ফেলেছে সমাজমাধ্যমে। পুরো বিষয়টি নিয়ে বিতর্কও দানা বেঁধেছে। ঘটনাটির একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। যদিও ভাইরাল সেই ভিডিয়োর সেই সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
ভাইরাল সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, কনকনে ঠান্ডার মধ্যে রাত ১২টায় হস্টেলের এক তরুণের ঘরে হুড়মুড়িয়ে ঢুকে পড়েন বাকি আবাসিকরা। তখন তিনি খালি গায়ে ঘরে শুয়েছিলেন। এর পর ‘বন্ধু’রা একটি নাইলনের দড়ি দিয়ে বেঁধে ফেলেন তাঁকে। বাঁধা অবস্থাতেই বাইরে বার করে নিয়ে গিয়ে ঠান্ডা জল ঢেলে দেন। এর পর গা মুছিয়ে ঠান্ডার মধ্যেই খালি গায়ে একটি চেয়ারে বসিয়ে রাখা হয়। কাঁপতে থাকেন তিনি। কিছু ক্ষণ পর তাঁকে ভিতরে নিয়ে এসে কেক কাটানো হয়। তবে সেখানেই শেষ হয়নি ‘উৎসব’ উদ্যাপন। কেক কাটার পর ওই তরুণের সারা মুখে লিপস্টিক এবং পাউডার মাখিয়ে দেন, চোখে লাগানো হয় কাজল। সেই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। সেই ভিডিয়ো অনুযায়ী, যখন পুরো ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে, তখন পরিবেশের তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি।
নিমিল নামে ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে ওই ভিডিয়োটি পোস্ট করা হয়েছে। ভিডিয়োটি ইতিমধ্যেই বহু মানুষ দেখেছেন। ৭৫ লক্ষ বারের বেশি সেই ভিডিয়ো দেখা হয়েছে। অনেকে ভিডিয়োটি বন্ধুদের মধ্যে ‘মজা’ বলে উড়িয়ে দিলেও ওই তরুণদের নিন্দা করেছেন নেটাগরিকদের একাংশ। তাঁদের দাবি, জন্মদিন পালনের নামে এক প্রকার অত্যাচার করা হয়েছে ওই তরুণের উপর । কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন, শীতকালে এত ঠান্ডা জলে স্নান করার জন্য ওই তরুণের শরীর খারাপ হলে তার দায় কে নেবে? এক জন নেটাগরিক ভিডিয়োটি দেখে লিখেছেন, ‘‘এ ভাবে বন্ধুর জন্মদিন পালন কে করে ভাই? এই মজার কোনও মানে হয় না। ছেলেটির বড় ক্ষতি হয়ে যেতে পারত।’’