ছবি: ভিডিয়ো থেকে নেওয়া।
বিড়ালের নাকি ন’টি জীবন। সেই কারণে প্রাণের ঝুঁকি নিতে বিশেষ ভয় পায় না তারা। বহুতল বাড়ির ছাদ থেকে লাফিয়ে নীচে নামা হোক অথবা লম্বা গাছের মগডালে উঠে বসে থাকা, সবেতেই ‘বাঘের মাসিরা’ এগিয়ে থাকে। রাস্তাঘাটে চলার সময়ও চলন্ত গাড়ির তোয়াক্কা করে না মার্জারেরা। সম্প্রতি সেই রকমই এক ‘আত্মহত্যাপ্রবণ’ বিড়ালের ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে। বিড়ালটি স্বেচ্ছায় চলন্ত বাসের চাকার সামনে গিয়ে শুয়ে পড়ছে। বার করতে গেলে আবার বাসের তলায় ঢুকে যাচ্ছে। অবাক করা সেই ভিডিয়োই ভাইরাল হয়েছে। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। ঘটনাটি কোথায় ঘটেছে তা-ও সেই ভিডিয়ো থেকে স্পষ্ট নয়।
ভাইরাল সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, একটি বিড়াল রাস্তার মাঝে শুয়ে গা চাটছে। তার পাশ দিয়ে ছুটে চলেছে অজস্র গাড়ি। নিজেকে পরিষ্কার করার মাঝেই মাথা তুলে চলন্ত গাড়িগুলোকে দেখে নিচ্ছে বিড়ালটি। সেই সময় তার দিকে এগিয়ে আসছিল একটি বাস। বাসটিকে পছন্দ হল বিড়ালটির। দৌড়ে গিয়ে বাসটির চাকার সামনে গিয়ে শুয়ে পড়ল বিড়ালটি। চাকার গায়ে গা এলিয়ে শুয়ে থাকল মার্জার। রাস্তা দিয়ে হেঁটে চলা লোকজন অবাক হয়ে দেখতে থাকল বিড়ালের এই অদ্ভুত কাণ্ড। বিড়ালটি স্বভাববশত কাউকেই পাত্তা দিল না। বাসের চাকায় গা ঠেকিয়ে শুয়ে রইল সে। সৌভাগ্যবশত বাসটি তখনও যাত্রী তোলার জন্য সেখানেই দাঁড়িয়ে ছিল, নয়তো ন’টা জীবন থেকে একটি বাদ পড়ে যেত। বিড়ালটিকে উদ্ধার করতে এগিয়ে যান এক তরুণ পথচারী। কিন্তু তরুণকে পছন্দ হল না বিড়ালটির। তাঁকে দেখে সে বাসের আরও তলায় চলে গেল। তরুণ হাত দেখিয়ে বাসটিকে আরও কিছু ক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে বলেন। তার পর বিড়ালটির পা টেনে, রীতিমতো জোর করেই বাসের তলা থেকে তাকে বার করে আনেন। বিড়ালটিকে তুলে নিয়ে ছুড়ে ফুটপাতের উপর ফেলেন তরুণ। বিড়ালের অদ্ভুত কাণ্ডের সেই ভিডিয়োই ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমের পাতায়।
‘জ়ুম এক্স’ নামের ইউটিউব চ্যানেল থেকে ভিডিয়োটি আপলোড করা হয়েছে। ভিডিয়োটি ভাইরালও হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রচুর নেটাগরিক ভিডিয়োটিতে লাইক ও কমেন্ট করেছেন। নেটাগরিকেরা নানা রকম মজার মন্তব্য করে মন্তব্যবাক্স ভরিয়ে তুলেছেন। এক জন নেটাগরিক কমেন্ট করেছেন, ‘‘ন’টা জীবনের একটা চলে গেলে বিড়ালটির কিছু আসবে-যাবে না।’’