Bike Rally

আদিবাসীদের শিকার উৎসবের মধ্যে বন্যপ্রাণী সুরক্ষা ও সচেতনমূলক বার্তা দিতে বাইক ব়্যালি অরণ্য শাখার

যাতে কেউ বন্যপ্রাণী হত্যা না করেন সেই বার্তা জানাতেই মোটরসাইকেল নিয়ে প্রায় ১২০ কিলোমিটার র‍্যালি করলেন বনদফতরের কর্মীরা। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কমিটি অরণ্য শাখার উদ্যোগে মঙ্গলবার এই বাইক র‍্যালি আয়োজন করা হয়।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০২৫ ০২:১৪
Share:

—নিজস্ব চিত্র।

জঙ্গলমহল এলাকায় শুরু হয়েছে আদিবাসীদের শিকার উৎসব। যাতে কেউ বন্যপ্রাণী হত্যা না করেন সেই বার্তা জানাতেই মোটরসাইকেল নিয়ে প্রায় ১২০ কিলোমিটার র‍্যালি করলেন বনদফতরের কর্মীরা। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কমিটি অরণ্য শাখার উদ্যোগে মঙ্গলবার এই বাইক র‍্যালি আয়োজন করা হয়। মেদিনীপুর বন বিভাগের অফিস থেকে শুরু হয় ৬৪টি বাইক নিয়ে ১০০ জনের র‍্যালি। মেদিনীপুর থেকে সদর ব্লকের চাঁদড়া ধেড়ুয়া হয়ে ঝাড়গ্রাম জেলার লালগড় ঘুরে আবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পিড়াকাটা হয়ে শালবনির ভাদুতলা বনদফতরের অফিসে গিয়ে শেষ হয়।

Advertisement

প্রতি বছর মার্চ মাস থেকে শুরু করে এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত চলে শিকার উৎসব। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে ১৩ এপ্রিল চাঁদরা রেঞ্জের বাগঘোড়া এলাকায় একটি বাঘের মৃত্যু হয়েছিল এই শিকার উৎসবের সময়ে। তার পর থেকেই বনদফতর বন্যপ্রাণী হত্যার বিষয়ে আরও গুরুত্ব দিয়ে আদিবাসী সমাজের মোড়লদের নিয়ে একাধিকবার মিটিং করে বন্য প্রাণী হত্যা বন্ধ করার জন্য আবেদন জানিয়েছেন। বিশাল জঙ্গলের মধ্যে বন্যপ্রাণীরা ঘোরাফেরা করে কিন্তু এই শিকার উৎসবের সময় ধারালো অস্ত্র নিয়ে গিয়ে তাদের হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ। তাই এ দিনের পোস্টারে লেখা ছিল “প্রাণী হত্যা করবেন না।” তা ছাড়া, জঙ্গলে গাছের শুকনো পাতায় যাতে কেউ কোনও ভাবে আগুন না লাগায় সেটাও উল্লেখ করা হয়।

কর্মরত বনকর্মীরা কাজের সময় যাতে কোনও রকম দুর্ব্যবহারের শিকার না হন সেই আবেদনও জানানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, আগামী ৩ এপ্রিল গোপগড় এলাকায় একটি বিশাল শিকার উৎসব রয়েছে। তা ছাড়া, ৬ এপ্রিল থেকে চাঁদরা এলাকায় আরও কয়েকটি শিকার উৎসব রয়েছে। জঙ্গলে যাতে বাইরের লোকজন ঢুকে প্রাণী হত্যা না করেন সেই জন্য আগাম সতর্কবার্তা নিয়ে সচেতনতামূলক বাইক র‍্যালি করা হলেও, শিকার উৎসবের দিনগুলিতেও তাঁদের সতর্ক ও সাবধান করা হবে বলে জানিয়েছেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কমিটি অরণ্য শাখার সভাপতি সঞ্জয় মাজি। তিনি বলেন, “যাতে অস্ত্র ব্যবহার না করে রক্তহীন ভাবে শিকার উৎসব পালন করা হয় সেই বার্তা দেওয়া হয়েছে মোড়লদের। এই নিয়ে একাধিকবার মিটিং করা হয়েছে মোড়লদের সঙ্গে। যেহেতু ধার্মিক অনুষ্ঠান, তাই শিকার উৎসব বন্ধ করা সম্ভব নয়।” জেলাতে বন ও বন্য প্রাণীদের রক্ষার জন্য যারা ভাল কাজ করেছেন তাঁদের এ দিন সংবর্ধনা জানানো হয়েছে। হাতিকে ট্রান্সলাইজ করার পাশাপাশি হাতি ম্যানেজমেন্ট এবং সাব রেসকিউ করার জন্য মোট ১০ জনের হাতে সান্মণিক তুলে দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement