ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে নেওয়া।
নিজের ব্যবহারের জন্য নয়, লাখ লাখ টাকা খরচ করে পোষ্যের জন্য নামী ব্র্যান্ডের স্যুটকেস কিনলেন এক ব্যক্তি। স্যুটকেসটি দেখতে হাড়ের মতো। লুই ভিঁত্তো ব্র্যান্ডের এই স্যুটকেসের নাম ‘বোন ট্রাঙ্ক’। এই স্যুটকেস কী কারণে ব্যবহার করা হবে তা ভিডিয়ো পোস্ট করে বুঝিয়ে দিলেন পোষ্যের মালিক (যদিও এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন)।
তরুণের নাম এস রজার্স। ক্যালিফর্নিয়ার ব্যবসায়ী তিনি। ইনস্টাগ্রামে ‘এসরজার্সসিইও’ নামে অ্যাকাউন্ট রয়েছে তাঁর। সেই অ্যাকাউন্ট থেকেই নিজের বিলাসিতায় মোড়া জীবনযাত্রার ছবি এবং ভিডিয়ো পোস্ট করেন তিনি। সম্প্রতি একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে তিনি জানান যে, পোষ্যের জন্য একটি স্যুটকেস কিনেছেন তিনি। ভিডিয়োয় লুই ভিঁত্তোর একটি দোকানে ঢুকতে দেখা যায় তরুণকে। দোকানের কর্মীদের সঙ্গে দেখা হলে তাঁদের অভিবাদন করেন রজার্স। তার পর পোষ্যের জন্য স্যুটকেসটি দেখতে শুরু করেন। স্যুটকেসটি দেখতে অনেকটা হাড়ের মতো। সেটি খুললেই দেখা যায় যে, দু’দিকে দু’টি পাত্র বসানো রয়েছে। আসলে এটি কোনও ব্যাগ নয়। পোষ্যকে খেতে দেওয়ার দু’টি পাত্র। সেটাই এমন পরিপাটি করে সাজিয়ে তৈরি করেছে সংস্থা।রজার্স জানান, এই ব্যাগটির মূল্য ২০ হাজার ডলার, যা ভারতীয় মূল্যে প্রায় ১৭ লক্ষ টাকা। রজার্স বলেন, ‘‘আমার কুকুর তার ইচ্ছামতো এখানে খাওয়াদাওয়া করবে, জলপান করবে।’’ ভিডিয়োটি পোস্ট করে তিনি লিখেছেন, ‘‘আগামিকাল কখনও আসবে না, এই ভেবে আমি দু’হাত খুলে খরচ করি।’’ স্যুটকেসের দাম জানাতেও ভোলেননি তিনি। এই ভিডিয়োটি দেখে অবশ্য রজার্সের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়েছেন নেটব্যবহারকারীদের অধিকাংশ। এক নেটাগরিক বলেন, ‘‘এত টাকা না উড়িয়ে যদি কুকুরদের আশ্রয়স্থলগুলির উন্নয়নের কারণে খরচ করতেন, তবে অনেক উপকার হত।’’ আবার এক নেটব্যবহারকারী তরুণকে প্রশ্ন করেছেন, ‘‘টাকা কি গাছে ফলে নাকি?’’