দুবাইয়ের কনসার্টের মঞ্চে আশা ভোঁসলে। ছবি: ভিডিয়ো থেকে নেওয়া।
নব্বইয়ের গণ্ডি পার করে ফেলেছেন। কিন্তু এখনও মঞ্চে পারফর্ম করতে উঠলে মাতিয়ে রাখেন সঙ্গীতশিল্পী আশা ভোঁসলে। সম্প্রতি দুবাইয়ে অনুষ্ঠান করতে গিয়েছিলেন আশা। একের পর এক গান গেয়ে শ্রোতাদের মুগ্ধ করছিলেন তিনি। কিন্তু হঠাৎ তাঁর গলায় অন্য সুর ধরা পড়ল।
মঞ্চে দাঁড়িয়ে ‘ব্যাড নিউজ়’ ছবির বহুল জনপ্রিয় ‘তওবা তওবা’ গানটি গাইতে শুরু করলেন আশা। শুধু তা-ই নয়, মাইক রেখে বিখ্যাত নাচের স্টেপও করতে শুরু করেন ৯১ বছরের সঙ্গীতশিল্পী। সমাজমাধ্যমের পাতায় আশার নাচের ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে (যদিও এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন)।
চলতি বছরের জুলাই মাসে আনন্দ তিওয়ারির পরিচালনায় ‘ব্যাড নিউজ়’ ছবিটি মুক্তি পায়। ভিকি কৌশল এবং তৃপ্তি দিমরি অভিনীত এই ছবিটি বক্স অফিসে সফল না-হলেও কর্ণ অওজলার কণ্ঠে এই ছবির ‘তওবা তওবা’ গানটি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। গানটির সঙ্গে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে ভিকি কৌশলের নাচও।
দুবাইয়ের কনসার্টে গিয়ে ‘তওবা তওবা’ গানটিই গাইতে দেখা গেল আশাকে। গানের সঙ্গে ভিকির যে নাচের স্টেপ ছিল, মাইক হাতে গানটি গাইতে গাইতে দু’গালে হাত দিয়ে সেই স্টেপ অনুকরণ করেন কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী। ব্যাকগ্রাউন্ডে যখন শুধু বাজনা বেজে চলেছে, তখন হাত থেকে মাইক রেখে দিলেন আশা। পাশে সরে ‘তওবা তওবা’ গানে নাচ করতে শুরু করলেন তিনি। কখনও নিজের ভঙ্গিমায়, কখনও আবার জনপ্রিয় ‘হুক স্টেপ’ মিলিয়ে নাচ করলেন তিনি।
আশার এই পারফরম্যান্সের ভিডিয়ো দুবাইয়ের একটি বেতার চ্যানেলের ইনস্টাগ্রামের পাতায় পোস্ট করা হয়। ভিডিয়োটি সমাজমাধ্যমের পাতায় পোস্ট করে অভিনেতা ভিকি এবং গায়ক কর্ণের নজর কাড়ে তারা। আশার এই ভিডিয়োটি ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে ভাগ করে নেন কর্ণ নিজেই। ভিডিয়োটি পোস্ট করে কর্ণ লেখেন, ‘‘আমার যখন ২৭ বছর বয়স, তখন গানটি লিখেছিলাম। উনি ৯১ বছর বয়সে এসেও আমার চেয়ে ভাল গাইছেন।’’
ছবি: কর্ণের ইনস্টাগ্রাম স্টোরি থেকে নেওয়া।
এই প্রসঙ্গে কর্ণ আরও লেখেন, ‘‘আশাজি সঙ্গীতের দেবী। ‘তওবা তওবা’ গানটি তিনি পারফর্ম করেছেন। এই গানটি এমন এক কিশোরের লেখা যার বড় হয়ে ওঠা ছোট্ট এক গ্রামে। কখনও সঙ্গীত নিয়ে প্রশিক্ষণ নেয়নি, বাদ্যযন্ত্র নিয়ে যার বিন্দুমাত্র পুঁথিগত বিদ্যা নেই। সে কোনও বাদ্যযন্ত্র বাজাতও না। অথচ সুর বেঁধে ফেলল। সঙ্গীতপ্রেমীদের পাশাপাশি সঙ্গীতশিল্পীরাও এই গানের প্রশংসা করেছেন। কিন্তু আজ মনে হচ্ছে, আমার জীবন সার্থক হল। কোনও দিনও এই মুহূর্ত ভুলতে পারব না আমি। আমি সত্যিই কৃতজ্ঞ। আগামী দিনে আরও নতুন সুর, নতুন মুহূর্ত তৈরি করার প্রেরণা পেলাম যেন।’’