ছবি: সংগৃহীত।
স্কুলে যায়নি একদিনও। নেই প্রথামাফিক পড়াশোনা। দিন কাটে পথে পথে বাদাম ও অন্যান্য ভাজা খাবার বিক্রি করে। সেই কিশোরীর মুখে খই-এর মতো ফোটে ছয়টি ভাষা। অনর্গল ভাবে কথা বলে চলে ইংরেজিতে। এ ছাড়াও উর্দু, পুস্ত, পঞ্জাবি, চিত্রালি ও শিখারি ভাষায় পটু, এমনটাই দাবি কিশোরীর। পাকিস্তানের পাখতুনখোয়া প্রদেশের বাসিন্দা শুমাইলা। সম্প্রতি কনটেন্ট নির্মাতা ও ভ্লগারের সঙ্গে তার কথোপকথনের এক ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয়েছে। পাকিস্তানি ভ্লগার জিশান, যিনি পেশায় একজন ডাক্তারও। নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে শুমাইলার স্পষ্ট ও সাবলীল ইংরেজিতে কথা বলার ভিডিয়োটি পোস্ট করেন। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, হাতে বেতের ঝুড়ি নিয়ে রাস্তায় ঘুরে ঘুরে চিনাবাদাম, সূর্যমুখীর বীজ ও অন্যান্য ভাজা খাবার বিক্রি করছে শুমাইলা। কথা বলতে বলতে সে জানায়, তাঁর বাবার কাছেই ছয়টি ভাষা শিখেছে। তার বাবা নিজেও ১৪টি ভাষায় কথা বলতে পারেন বলে জানিয়েছে এই পাক কিশোরী। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত খাবার বিক্রি করে সে। কোনও স্কুলেও যায়নি ছোট থেকে। শুমাইলার পরিবারে আছে তার পাঁচ মা ও ৩০ জন ভাইবোন। ছোট্ট শুমাইলার এই আত্মবিশ্বাসী কথোপকথন শুনে সমাজমাধ্যম ব্যবহারকারীরা প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন। এক জন নেট মাধ্যম ব্যবহারকারী বলেছেন, ‘‘তার আত্মবিশ্বাস সবচেয়ে বেশি চিত্তাকর্ষক।’’ অন্য এক জন লিখেছেন “ইংরেজি বলতে স্কুলে যেতে হয় না।’’