চালকবিহীন গাড়িতে অশীতিপর। —ছবি: ভিডিয়ো থেকে নেওয়া।
কফিশপে দুই বন্ধু একান্তে সময় কাটাতে চান। দু’জনের বয়সই ৮১ বছর। এক পরিচিতকে তাই গাড়ি ডাকতে বলেছিলেন তাঁরা। রাস্তায় দাঁড়িয়ে সেই গাড়ির জন্যই অপেক্ষা করছিলেন দু’জনে। দামি গাড়ি দেখে খুশিও হয়ে গিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু গাড়িতে উঠতেই চমকে গেলেন দু’জন। গাড়ির ভিতরে চালক কই? গাড়িতে ওঠার পর হঠাৎ ভেসে এল এক নারীকণ্ঠ। ‘‘দয়া করে সিটবেল্ট বেঁধে নিন’’ নারীর কণ্ঠে এই কথা শোনার পর আরও চমকে যান তাঁরা। তার পর চালক ছাড়াই গাড়ি চলতে শুরু করে। তা দেখে ‘ভূত’ দেখার মতো চমকে ওঠেন দুই অশীতিপর। সমাজমাধ্যমে সেই ভিডিয়োই ছড়িয়ে পড়েছে (যদিও এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।)
ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, কেনি এবং তাঁর বন্ধু জেরি দু’জনে ‘সেল্ফ ড্রাইভ’ গাড়িতে উঠেছেন। দুই অশীতিপরের সঙ্গে রয়েছেন অ্যামান্ডা নামের এক তরুণীও। আসলে চালকবিহীন গাড়িতে এই প্রথম চড়লেন কেনি এবং জেরি। তাই তাঁদের অভিজ্ঞতা ক্যামেরাবন্দি করতে চেয়েছিলেন অ্যামান্ডা। চালক ছাড়া কী ভাবে নিখুঁত ভাবে গাড়ি চলে তা দেখে দু’জনেই অবাক হয়ে যান।
প্রথমে ভয় পেলেও তাঁরা এমন আশ্চর্য হয়ে গিয়েছিলেন যে, মুখের ভাষাই হারিয়ে ফেলেন। কোনও মানুষ গাড়ি চালালেও এতটা সাবধানতা অবলম্বন করেন না। চালকবিহীন গাড়িতে চাপার পর প্রযুক্তির ব্যবহার দেখে অবাক হয়ে যান তাঁরা। গাড়িটির নিজে থেকে প্রতিটি বাঁক নেওয়া থেকে শুরু করে গন্তব্যস্থলে পৌঁছনোর পর নিজে থেকেই সেখান থেকে চালকবিহীন অবস্থায় চলে যাওয়া— এ সব কাণ্ডকারখানা দেখে তাঁরা ‘ভূত’ দেখার মতোই চমকে ওঠেন।