ছবি: সংগৃহীত।
গ্রীষ্মাবকাশে মায়ের সঙ্গে সমুদ্রের পারে ঘুরে বেড়াচ্ছিল ব্রিটেনের বাসিন্দা বছর দশেকের এক বালিকা। হঠাৎই হোঁচট খেয়ে পড়ে যায় সে। এক বার নয় বেশ কয়েক বার। কিসে হোঁচট খেল, তা খুঁজতে গিয়ে তাজ্জব হয়ে যান মা ও মেয়ে। বিশালাকার পাঁচটি পায়ের ছাপের মতো গর্ত খুঁজে পেয়ে জাদুঘরে ইমেল করেন টেগান ও তার মা। পরে জাদুঘর কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে টেগানের মাকে জানানো হয় যে অদ্ভুত ও বিশাল গর্তগুলি আদতে প্রাগৈতিহাসিক যুগের তৃণভোজী ডাইনোসরের পায়ের ছাপ। এই খবর পাওয়ার পর স্বাভাবিক ভাবেই টেগান ও তার মা ক্লেয়ার রোমাঞ্চিত।
সংবাদমাধ্যম বিবিসির থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, বিশাল পায়ের ছাপগুলি ট্রায়াসিক যুগের শেষের দিকের একটি কেমলট গোত্রের তৃণভোজী প্রাণীর হতে পারে। এরা ২০ কোটি বছর আগে পৃথিবীতে বিচরণ করত বলে জানা গিয়েছে। ব্রিটেনের সাউথ ওয়েলস উপকূলে ৭৫ সেন্টিমিটার ব্যবধানে থাকা এই পায়ের ছাপগুলি পাওয়া গিয়েছে। জীবাশ্মবিদেরা পায়ের ছাপগুলি যাচাই করার জন্য পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছেন।
‘ন্যাশনাল মিউজ়িয়াম ওয়েলসের’ জীবাশ্মবিদ্যা বিভাগের অধিকর্তা আস্থা প্রকাশ করেছেন যে, ডাইনোসরের এই পায়ের ছাপগুলি আসল। বিবিসির ‘দ্য ডাইনোহন্টার্স’ নামের এক অনুষ্ঠানে ডাইনোসর বিশারদ সিন্ডি হওয়েল জানিয়েছেন, এই পায়ের ছাপগুলি এত বড় যে, এগুলি সরোপোডোমর্ফা নামের ডাইনোসরেরও হতে পারে।