প্রতিবেদন ও চিত্রগ্রহণ: সুবর্ণা, সম্পাদনা: সুব্রত
বাইরের সমাজ চেনে ‘মনোরোগী’ বলে। ভাস্কর ধ্রুপদী সঙ্গীতের তালিম নিয়েছেন ছোটবেলা থেকে। হাসপাতাল ছুটি দিয়েছে, এখন পুনর্বাসনের অপেক্ষা। ‘প্রত্যয়ে’ গেলেই ভাস্করের দেখা মিলবে, হারমোনিয়াম নিয়ে রেওয়াজে মশগুল। মঙ্গলবারের ‘সান্ধ্য মজলিশে’ ভাস্কর যখন ‘আলেয়ার পিছে আমি মিছেই ছুটে যাই বারেবার’ গাইছেন, গিটার ধরলেন এই প্রজন্মের দুই উঠতি শিল্পী পুরব শীল আচার্য আর দীপরাজ চৌধুরী। জুঁইয়ের গন্ধে ম’ম’ করা সন্ধ্যায় গানে-সুরে-কবিতায় মুছে গেল মনোরোগী আবাসিক ও বাইরের দূরত্ব। ভাস্কর একা নন। নিজেদের ঝুলি উজাড় করে মজলিশে মাতলেন অন্যান্য আবাসিকও। গলা মেলালেন ‘প্রত্যয়ে’র অভিভাবক মনোবিদ রত্নাবলী রায়। আনন্দঘন কোরাসের থেকে নিজেকে আলাদা করে রাখা খুব শক্ত, অনুত্তমা বন্দ্যোপাধ্যায়ও তাই শামিল কলরবে। মজলিশি মেজাজে রাজ্য সরকারের নারী, শিশু ও সমাজকল্যাণ দফতরের ডিরেক্টর মিতালি বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তাঁর দফতর ও স্বাস্থ্য দফতরের আর্থিক সহায়তাতেই অসরকারি সংস্থা ‘অঞ্জলি’ ‘প্রত্যয়ে’র দায়িত্বে। মনোরোগ থেকে উত্তীর্ণ হয়ে পুনর্বাসনের পথ দীর্ঘ, ক্লান্তি মুছে হেঁটে যেতে জরুরি দমকা বাতাস। তারই আয়োজনে সান্ধ্য মজলিশের ভাবনা, যেখানে মুক্তস্বরে ভিতর-বাহির সকলেই চেঁচিয়ে উঠতে পারে ‘আমরা সবাই রাজা’।