প্রতিবেদন: সৌরভ, চিত্রগ্রহণ এবং সম্পাদনা: সুব্রত
খাঁ পাড়ায় বিস্ফোরণের ঘটনার পর থেকেই থমথমে বজবজের নুঙ্গি। পুলিশের বুটের আওয়াজে কার্যত ‘সন্ত্রস্ত’ গোটা পাড়া। স্থানীয়দের অভিযোগ, দিন নেই, রাত নেই দরজায় কড়া নাড়ছে পুলিশ। শুধু তাই নয়, বাজি বাজেয়াপ্ত করার নামে দোকানপাট ভাঙচুর, লুট, মারধর এবং ধরপাকড়ের মতো অভিযোগও উঠছে। একাংশের অভিযোগ, ‘পুলিশি নির্যাতন’ থেকে রেহাই পাচ্ছেন না মহিলারাও। রাস্তায় বের হলেই পুলিশ ধরবে, এই ভয়েই কার্যত নিজেদের ঘরবন্দি করে রেখেছে প্রতিবেশী পাড়া। অনেকে তো বাড়িঘর ছেড়েও চলে গিয়েছেন। একশো বছরেরও বেশি সময় ধরে ‘আনন্দের বাজি’ তৈরি করছে নুঙ্গি। তবে বিস্ফোরণের ঘটনার পর পরিস্থিতির টানাপড়েনে রুটিরুজি নিয়েই তৈরি হয়েছে আশঙ্কা। বাজি শিল্পের সঙ্গে যুক্ত অনেকেই ঋণ নিয়ে দেনা করে ব্যবসা করতেন। বিকল্প কর্মসংস্থান তৈরি না করে হঠাৎ ‘কুটির শিল্প’ বন্ধ হয়ে গেলে কী ভাবে চলবে তাঁদের? স্থানীয়েরা বলছেন, “আমরা কেউ মানুষ মারার বোম বানাই না। আতশবাজিই বানাই। অনেকেই দেনা করে বাজির কাজ করছে। পুলিশ এসে সব তুলে নিয়ে যাচ্ছে। এবার তো গলায় দড়ি দিয়ে মরতে হবে না হলে বিষ খেতে হবে। বাবাহারা সন্তানকে নিয়ে জলাজঙ্গলে গিয়ে রাত কাটছে। একেই শোক, তার উপর পুলিশের অত্যাচার, আমরা আর বাঁচতে চাই না। আমাদের মেরে ফেলে দিক।”