পাঁচ বছরের প্রচেষ্টা! শেষ পর্যন্ত সাফল্যের আলো দেখল সঙ্গীত ভারতী মুক্তধারার প্রয়াস। রবিবার কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হল ‘হাজার কণ্ঠে সম্মেলক রবীন্দ্রসঙ্গীত’। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করলেন পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও দেশের আরও ১১টি রাজ্যের বাঙালি এবং অবাঙালি শিল্পীরা। ‘হাজার কণ্ঠে সম্মেলক রবীন্দ্রসঙ্গীত’, সঙ্গীত ভারতী মুক্তধারার এই রবীন্দ্রযজ্ঞে এমন অনেক শিল্পীই অংশগ্রহণ করেছেন যাঁদের মাতৃভাষাও বাংলা নয়। ২০১৯ সাল থেকে এই অনুষ্ঠানের মহড়া শুরু হয়। উদ্যোক্তাদের পরিকল্পনা ছিল, ২০২১ সালেই এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। কিন্তু অতিমারি পরিস্থিতির কারণে তা সম্ভব হয়নি। দীর্ঘ বিলম্বের পর অবশেষে পরিণতি পেল সঙ্গীত ভারতী মুক্তধারার পরিকল্পনা। সঙ্গীতশিল্পী অরুন্ধতী দেবের পৃষ্ঠপোষকতায় কলকাতায় সেই অনুষ্ঠান সম্পন্ন হল, যার পৌরোহিত্য করলেন শিল্পী শ্রীকান্ত আচার্য। কলকাতা, দিল্লি, মুম্বই তো বটেই, দেশের আরও নানান শহরের শিল্পীরা সমবেত হয়ে এক সুরে, এক ছন্দে গাইলেন রবীন্দ্রগান। রোববারের সন্ধ্যায় হাজার কণ্ঠে রবীন্দ্রসঙ্গীতের সঙ্গেই সমন্বয় ঘটল রবীন্দ্র নৃত্যশৈলীরও। কলকাতা সাক্ষী থাকল ‘নটরাজ ঋতুরঙ্গশালা’-র। যেখানে মিলেমিশে একাকার হয়ে গেল রবীন্দ্রনাথের গান, কবিতা এবং নাচ। নেতাজি ইন্ডোরে কবিগুরুর জীবন এবং স্বপ্নকে উদ্যাপনের এই আনন্দ উপভোগ করলেন আসমুদ্রহিমাচলের রবীন্দ্র অনুরাগীরা।