প্রতিবেদন: শ্রাবস্তী, চিত্রগ্রহণ: প্রিয়ঙ্কর, সম্পাদনা: সুব্রত
কলকাতার শীতকে বরাবর যাঁরা শীতের পশমে জড়িয়ে রাখেন, তাঁদের কারোর বাড়ি দার্জিলিং, কেউ বা আসেন হিমাচল প্রদেশ থেকে। বাঙালির চলতি ভাষায় এঁরা ‘ভুটিয়া’ বলে পরিচিত। শীত পড়তে না পড়তেই, নভেম্বর মাস থেকে এঁদের দেখা যায় কলকাতার ওয়েলিংটন স্কোয়ারে, হেদুয়া পার্কের সামনে। ঠিক যেমন, গত চল্লিশ-পঁয়তাল্লিশ বছর ধরে আসছেন দার্জিলিঙের ক্লেনজং। অতিমারীর কারণে দু’বছর না আসা হলেও, এই বারে আবার তাঁর বোনকে নিয়ে কলকাতার টেরিটি বাজারে ঘর ভাড়া নিয়েছেন, থাকবেন ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সার বেঁধে দাঁড়িয়ে থাকা দোকানগুলি খোলে সকাল ৮টায়, কেনাবেচা চলে রাত ৯টা পর্যন্ত। হাতে বানানো বা মেশিনে তৈরি উলের সোয়েটার, জ্যাকেট, টুপির পসরা সাজিয়ে এঁরা অপেক্ষা করেন ক্রেতাদের, এই অনলাইন কেনাকাটার যুগে যাঁদের সংখ্যা নিম্নগামী। এই বছরের শীত না পড়ায় ব্যবসা আরও কমেছে। তাও প্রতি বছর শীতের সময় কলকাতার আসার অভ্যাস অটুট থাকে, এখানকার মানুষদের ভালবেসে, এই শহরের প্রতি টানে।