সম্পাদনা: সৈকত
ব্রেক আপের আভাস আগেই দিয়েছিলেন, এবার পুরনো দলের সঙ্গে নতুন সম্পর্ক গড়ে তৃণমূলকে ‘আলবিদা’ বললেন অর্জুন সিংহ। দিল্লিতে গিয়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন ব্যারাকপুরের ‘দাবাং’ নেতা অর্জুন সিংহ। আর এ ভাবেই আপাতত যবনিকাপতন হল দলবদলের যাবতীয় নাটকের। “একুশের বিধানসভা নির্বাচনে ভোট পরবর্তী হিংসায় দলের কর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছিলেন, তাঁদের বাঁচাতেই দলের সঙ্গে সক্রিয়তা কমিয়েছিলাম”, বিজেপিতে যোগদান নিয়ে সাফাই অর্জুনের। প্রাক্তন সতীর্থকে দলে টেনে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা অমিত মালব্য বলেন, ‘‘তিনি বিজেপি সাংসদ। কিছু দিন দলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হলেও তিনি আবার সক্রিয় ভাবে দলের কাজ করবেন বলে নতুন করে যোগদান করলেন।” এ দিন সম্ভাবনাকে বাস্তব করে পদ্ম শিবিরে নাম লেখালেন দিব্যেন্দু অধিকারীও। আগাগোড়া হিন্দিতে বক্তব্য রেখে বাংলার সাংসদ বললেন, ‘‘আমি নরেন্দ্র মোদীর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়েই দলে সামিল হয়েছি।” কৃতজ্ঞতার তালিকায় জগৎ প্রকাশ নাড্ডা, অমিত শাহ, সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে নিজের ভাই ‘শুভেন্দু অধিকারিজি’র নামও করেছেন দিব্যেন্দু।
১০ মার্চ ব্রিগেডে বিয়াল্লিশ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে অর্জুন এবং দিব্যেন্দুকে ছেঁটে ফেলে তৃণমূল। মেদিনীপুরের অধিকারী পরিবারের সঙ্গে যে কোনও ‘রাজনৈতিক সম্পর্ক’ই কালীঘাটের বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবার আর রাখবে না, তা আগে থেকেই পরিষ্কার ছিল। তবে অর্জুনের বদলে পার্থ ভৌমিককে প্রার্থী করা মাত্রই বদলে যায় ব্যারাকপুরের রাজনৈতিক সমীকরণও। তৃণমূলের তরফে ফিরহাদ হাকিম সূক্ষ্ম চেষ্টা করলেও দলে রাখা গেল না অর্জুনকে। সমালোচকদের একাংশের দৃঢ় বিশ্বাস, ২০১৯ সালের মতো এ বারও ব্যারাকপুর থেকে বিজেপির প্রার্থী হতে চলেছেন অর্জুন। অন্যদিকে তমলুক আসনে এ বার প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। যদি শেষ পর্যন্ত হিসেবনিকেশ বদলায়, সে ক্ষেত্রে পুরনো আসনে দাবিদার হতে পারেন দিব্যেন্দুই, মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের।