সম্পাদনা: সৈকত
মুম্বইয়ের লালবাগের গণেশ। ১৯৩৪ সালে এই পুজো শুরু হয়। এ বছর ৮৯তম বছরে পা রাখল এই পুজো। আপনি কি জানেন কী ভাবে এই পুজো শুরু হয়েছিল? কেনই বা এই পুজোর জগৎজোড়া খ্যাতি?
তখন ১৯ শতক। মুম্বইয়ে বস্ত্রশিল্পের রমরমা। ১৯৩০ সালে যখন এই শিল্পের হাত ধরেই মুম্বই বিপ্লবের দোরগোরায়, তখনই ধাক্কা! মন্দার প্রভাব পড়তে শুরু করে মানবজীবনে। আঘাত আসে মৎসজীবীদের উপরও। এই পরিস্থিতিতে বিপদ থেকে রক্ষা পেতেই ‘বিঘ্নহর্তা’ গণেশের পুজো শুরু। পুতলাবাই চাওল নামের একটি জায়গায় শুরু হয় পুজো। সেই থেকেই এই পুজো শতাব্দীপ্রাচীন হওয়ার পথে। জনশ্রুতি রয়েছে, এই লালবাগের রাজা কাউকে খালি হাতে ফেরান না। ১০ দিন ধরে চলে মহোৎসব, যার আয়োজনে থাকে ‘সার্বজনিক গণেশ মণ্ডল’। গণেশ চতুর্থীর উৎসবকে কেন্দ্র করে এই পুজোয় অন্তত এক কোটি ভক্তের সমাগম হয়। লালবাগের রাজার দর্শনে আসেন মন্ত্রী-সান্ত্রি থেকে তারকা, মহাতারকারাও।
প্রথমবার যখন পুজো হয় তখন লালবাগের রাজাকে সাজানো হয়েছিল মৎসজীবীর রূপে। এরপর যত সময় এগিয়েছে বহর বেড়েছে রাজার। উল্লেখ্য, দেশের সব থেকে বড় বিসর্জন যাত্রার হয় লালবাগের গণেশের। মহোৎসব শেষে আরব সাগরে বিসর্জনের উদ্দেশে সকাল দশটায় বের করা হয় বিরাট বিগ্রহকে, যা শেষ হয় পরের দিন সকালে।