ডেল্টার তুলনায় কম প্রাণঘাতী হলেও করোনাভাইরাসের নয়া রূপ ওমিক্রনের (ভাইরাস বিজ্ঞানের পরিভাষায় বি.১.১.৫২৯) দ্রুত সংক্রমণের ক্ষমতা চিন্তা বাড়িয়েছিল। তবে গুরুতর শারীরিক অসুস্থতার হার আগের দু’টি তরঙ্গের তুলনায় কম হওয়ায়, চলতি স্ফীতিতে করোনার উপসর্গ তাই ‘মৃদু’ বলে চিহ্নিত হয়েছে।
সংক্রমণের প্রথম এবং দ্বিতীয় ঢেউয়ে করোনাভাইরাসের প্রভাব মূলত শ্বাসযন্ত্র ও ফুসফুসের উপর বেশি পড়তে দেখা গিয়েছে। তবে ‘দক্ষিণ আফ্রিকা-জাত’ ওমিক্রন ফুসফুসের উপর কম প্রভাব ফেলায় হাসপাতালগামী আক্রান্তের সংখ্যা কম।
ওমিক্রনে আক্রান্তদের উপসর্গের পার্থক্যের কয়েকটি কারণ রয়েছে। এর অন্যতম হল কোভিড-১৯ টিকা। যাঁদের টিকাকরণ হয়ে গিয়েছে, তাঁদের মধ্যে সংক্রমণের লক্ষণগুলি তুলনামূল ভাবে কম। উপসর্গের তীব্রতা এবং হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ঝুঁকি টিকা অনেকটাই কমিয়ে দিতে পারে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।