পাহাড়ের কোলে ছোট্ট জনপদ। ছবি: সংগৃহীত।
‘রিমঝিম এ ধারাতে, চায় মন হারাতে’, সঙ্গে যদি মনের মানুষটি থাকে তা হলে কথাই নেই। কিন্তু বর্ষাকালে বেশির ভাগ জঙ্গল বন্ধ থাকে। পাহাড়ে যাওয়ার উপায় নেই। বৃষ্টিতে বেশির ভাগ সময় ঘরবন্দি থাকতে হয়। পাহাড়ি রাস্তায় জল জমে না ঠিকই। তবে, বন-জঙ্গলে জোঁকের ভয় আছে। সে সব ভয় এড়িয়ে ঘুরতে যদি যেতেই হয়, কোথায় যাবেন? যেখানে গেলে একান্তে একটু সময় কাটানো যাবে। আবার, বর্ষার সবুজে চোখেরও আরাম হবে। এমন এক জনপদের সন্ধান রইল এখানে।
জোড়পোখরি
দার্জিলিং মানেই টাইগার হিল বা কাঞ্চনজঙ্ঘা নয়। মল রোডের জনস্রোতেও গা ভাসাতে চান না। বিখ্যাত কোনও ক্যাফেতে বৃষ্টির সোঁদা গন্ধ মাখানো বিকেল কাটাতে যদি ভাল না লাগে তা হলে ঘুরে আসতে পারেন জোড়পোখরি থেকে। নেপালি ভাষায় ‘পোখরি’ কথার অর্থ হল হ্রদ এবং ‘জোড়’ কথার মানে দুই। দার্জিলিং থেকে মাত্র ২৩ কিলোমিটার দূরে লেপচাজগতের কাছে অবস্থিত ছোট্ট এই গ্রাম। এখানকার মূল আকর্ষণ যমজ দু’টি হ্রদ। এখানে লোকজনের আনাগোনা কম। তাই আশপাশে খুব বেশি হোটেল বা হোম স্টে নেই। তাই মনের মানুষটির সঙ্গে বৃষ্টিভেজা রাত কয়েকটা রাত এখানে কাটানো যেতেই পারে। সারা রাত গাছের পাতা থেকে ঘরের চালে জল পড়ার ছন্দে হারিয়ে যেতেই পারেন এখানে।
দার্জিলিং থেকে মাত্র ২৩ কিলোমিটার দূরে লেপচাজগতের কাছে অবস্থিত ছোট্ট এই গ্রাম। ছবি: সংগৃহীত।
শিলিগুড়ি থেকে জোড়পোখরি যাওয়ার রাস্তাটিও অদ্ভুত সুন্দর। ঘন সবুজের মাঝে চা-বাগান ঘেঁষে দুধিয়া এবং মিরিক হয়ে পৌঁছে যেতে পারেন জোড়পোখরিতে। সমতল থেকে প্রায় ৭,৪০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত এই গ্রাম থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা যায়। তবে, আবহাওয়া অনুকূল থাকা চাই। চাইলে দার্জিলিঙের আশপাশের পরিচিত জায়গাগু্লি ঘুরে আসতেই পারেন। ভারত-নেপাল সীমান্ত থেকে জোড়পোখরি মাত্র ২০ কিলোমিটার। চাইলে সেখান থেকেও ঘুরে আসতে পারেন।
শিলিগুড়ি থেকে জোড়পোখরি যাওয়ার রাস্তাটি অদ্ভুত সুন্দর। ছবি: সংগৃহীত।
কী ভাবে যাবেন?
কলকাতা থেকে ট্রেনে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন। সেখান থেকে গাড়ি করে জোড়পোখরি পৌঁছে যাওয়া যায় সহজেই। আকাশপথে বাগডোগরা পৌঁছে সেখান থেকেও গাড়ি করে জোড়পোখরি যেতে পারেন।