অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টসের সময় সুরক্ষার স্বার্থে নজর দেওয়া দরকার কয়েকটি বিষয়ে। ছবি: সংগৃহীত।
রিভার র্যাফটিং থেকে বাঞ্জি জাম্পিং, স্কিইং, প্যারাগ্লাইডিং, জ়িপ লাইন— ভারত জুড়ে বিভিন্ন প্রদেশে রয়েছে রকমারি অ্যাডভেঞ্চার স্পোটর্সের সুযোগ। এই ধরনের রোমাঞ্চকর ক্রীড়া উপভোগে প্রতি বছর বহু মানুষ হৃষীকেশ, গোয়া, হিমাচল প্রদেশ, কাশ্মীরে বেড়াতে যান। তবে এই রোমাঞ্চকর ক্রীড়ার আনন্দই নিরানন্দে পরিণত হতে পারে, যদি বিপদ ঘটে যায়। সম্প্রতি হিমাচল প্রদেশের কুলুতে প্যারাগ্লাইডিং করতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে এক পর্যটকের। অভিযোগ ওঠে, প্যারাগ্লাইডিং-এর সময় ওই পর্যটককে সঠিক ভাবে বেল্ট পরানো হয়নি।
বিপদ ঘটে বা ঘটেছে বলে অ্যাডভেঞ্চার ক্রীড়ার শখ পূরণ করবেন না, তা কিন্তু নয়। তবে সাবধান হওয়া দরকার। অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টসের আগে সুরক্ষার জন্যই কয়েকটি বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া দরকার।
ক্রীড়া সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা: যে কোনও ক্রীড়ায় অংশ নেওয়ার আগে তার ঝুঁকি, সুরক্ষা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকা দরকার। ক্রীড়ার জন্য কোন ধরনের জিনিসপত্র ব্যবহার হয় সে সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা আচমকা বিপদ এড়াতে সহায়ক হতে পারে।
উপযুক্ত সরঞ্জাম: প্রতিটি ক্রীড়ার নিজস্ব সরঞ্জাম রয়েছে। কোনটির কী কাজ জানা দরকার। পাশাপাশি অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টস শুরু করার আগে সুরক্ষার জন্য উপযুক্ত সরঞ্জাম সঠিক ভাবে পরানো হলে ঝুঁকি কম থাকবে।
প্রশিক্ষকের নির্দেশ মানা: অনেকে শুধু শখে এক বার অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টস করেন না, বরং শেখেনও। প্যারগ্লাইডিং থেকে রিভার র্যাফটিং-সহ সমস্ত ক্রীড়ারই প্রশিক্ষণ হয় বিভিন্ন জায়গায়। সেই প্রশিক্ষণ নেওয়ার সময় অক্ষরে অক্ষরে প্রশিক্ষকের নির্দেশ মানা প্রয়োজন।
বেশি সাহস না দেখানোই ভাল: যতটা দক্ষতা তৈরি হয়েছে, সেই অনুযায়ী কাজ করা উচিত। পরিবেশ প্রতিকূল থাকলে, সামান্য ভুলত্রুটিতেই কিন্তু বিপদ ঘটে যেতে পারে। সুরক্ষার বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিতে হবে সব সময়।
প্রোটোকল: যে কোনও ক্রীড়ারই নিরাপত্তাজনিত নির্দেশিকা বা প্রোটোকল থাকে। বেপরোয়া মনোভাব দেখিয়ে সেটি ভাঙতে গেলে কিন্তু বিপদ হতে পারে। পাশাপাশি মদ্যপ অবস্থায় এই ধরনের ক্রীড়ায় অংশগ্রহণও বিপজ্জনক হতে পারে।