দু'দন্ড স্বস্তির নিঃশ্বাস নিতে চাইলে ঘুরে আসতেই পারেন পশ্চিম সিকিমের একটি ছোট্ট গ্রাম ওখড়ে থেকে।
ঘুরতে ভালবাসেন? ১৮ মার্চ দোল উত্সব। তার পরই রয়েছে শনি-রবির ছুটি। ছোট কোনও ভ্রমণ পরিকল্পনা করার আদর্শ সময়। এমন সুযোগ হাতছাড়া না করাই ভাল। তবে কোথায় যাবেন ভেবেই পাচ্ছেন না?
দু'দন্ড স্বস্তির নিঃশ্বাস নিতে চাইলে ঘুরে আসতেই পারেন পশ্চিম সিকিমের একটি ছোট্ট গ্রাম ওখড়ে থেকে। এই গ্রামকে জনপ্রিয় ট্রেকিং-ক্ষেত্র ভার্সের প্রবেশদ্বারও বলা হয়ে থাকে। চারিদিকে রয়েছে রডোডেনড্রন, ফার, ওক ও হেমলক ঘেরা জঙ্গল। রাতের অন্ধকারে অজস্র জোনাকির আনাগোনা। এ দৃশ্য দেখলে সত্যিই মন জুড়িয়ে যাবে। গ্রাম থেকেই কাঞ্চনজঙ্ঘার রূপও উপভোগ করা যায়। ওখড়ের জনসংখ্যা তুলনামূলক ভাবে অনেক কম। গুটিকয়েক কাঠের বাড়ি নিয়ে বসতি গড়েছেন গ্রামের মানুষেরা। পরিষ্কার আকাশ এবং মনোরম তাপমাত্রা যেন অপার্থিব করে তোলে জায়গাটিকে। একান্তে পাহাড় উপভোগ করার আদর্শ ঠিকানা পশ্চিম সিকিমের এই ওখড়ে গঞ্জ। ট্রেকিং-এর শখ থাকলেও হতাশ হতে হবে না। প্রথম দিন বিশ্রাম নিয়ে পরের দিন ভোরবেলায় পাঁচ-ছ’ঘণ্টা ট্রেক করে পৌঁছে যেতে পারেন ভার্সে। সেখানে আবার তাঁবু খাটিয়ে করতে পারেন রাত্রিবাস।
ওখড়ে গ্রাম থেকেই কাঞ্চনজঙ্ঘার রূপও উপভোগ করা যায়।
কী ভাবে যাবেন?
হাওড়া কিংবা শিয়ালদহ থেকে ট্রেনে উঠলে নামতে হবে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে। বিমানে যেতে চাইলে নামতে হবে বাগডোগরা বিমান বন্দরে। সেখান থেকে গাড়ি ভাড়া করে মালবাজার ও জোরথাং হয়ে পৌঁছে যাবেন ওখড়ে। ঘন্টা ছয়েক সময় লাগবে।
কোথায় থাকবেন?
ওখড়েতে থাকার জন্য বেশ কিছু হোম স্টে রয়েছে। সেগুলিতে খুব বেশি বৈভব আশা না করাই ভাল। থাকা খাওয়ার জন্য জনপ্রতি ১০০০- ১২০০ টাকা লাগতে পারে প্রতিদিন।