নতুন বিয়ের গন্ধ গায়ে মেখেই সঙ্গীকে নিয়ে মধুচন্দ্রিমায় চলে যেতে পারেন নির্জন নিরিবিলি রিকিসুমে। ছবি: সংগৃহীত
বিয়েবাড়ি মানেই কোলাহল, হইচই। দুই বাড়ির সদস্যরা তো রয়েছেনই, সেই সঙ্গে অতিথি, বন্ধুবান্ধব— পুরো জমাটি ব্যাপার। দু’টি মানুষের নতুন সম্পর্কের সূচনার উদ্যাপন। বিয়ের আগে থেকে শুরু হয়ে যায় হইচই। বিয়ের পরের কয়েক দিন পর্যন্ত তার রেশ থেকে যায়। হইচই বাড়ির প্রতিটি কোণ ভরিয়ে রাখে। কিন্তু কখনও তো একটু নির্জনতাও দরকার। বিশেষ করে নতুন জীবন শুরু করতে চলেছেন যাঁরা, তাঁদের জন্য একান্ত সময় জরুরি। নতুন বিয়ের গন্ধ গায়ে মেখেই সঙ্গীকে নিয়ে মধুচন্দ্রিমায় চলে যেতে পারেন নির্জন নিরিবিলি রিকিসুমে।
নিঝুম নির্জনতায় ঘেরা এই জায়গা। ছবি: সংগৃহীত
নিঝুম নির্জনতায় ঘেরা এই জায়গা। কালিম্পংয়ের ২০ কিলোমিটার উত্তরে পাহাড়ের উপরে ছোট্ট শান্ত গ্রাম রিকিসুম। চোখের সামনে মেঘের ভেলা আর কাঞ্চনজঙ্ঘা, রিকিসুমের সৌন্দর্যে শান্ত মন। রিকিসুমের নিস্তবদ্ধতায় যেন হৃৎস্পন্দনও শোনা যায়। ৬১৪০ ফুট পাহাড়ি উচ্চতায় এই গ্রাম যেন চোখের আরাম। শহুরে ক্লান্তি কেটে যায় মুহূর্তে। পাহাড়ের ধাপে ধাপে কাঠের বাড়ি আর বাঁকানো সিঁড়ি যেন একটা ছবি।
রিকিসুম ফুলের উপত্যকা। রংবাহারি নানা পাহাড়ি ফুলে ঢেকে থাকে এই গ্রাম। কত নাম না জানা ফুলে ভরে থাকে চারপাশ। তাদের রূপে ধাঁধা লেগে যায় চোখে। এমন সতেজ রং মধুচন্দ্রিমার দিনগুলি আরও রঙিন করে তুলবে। আকাশ পরিষ্কার থাকলে এখান থেকে দেখতে পেতে পারেন টাইগার হিলও। রিকিসুম থেকে সূর্যোদয়ের দৃশ্য আপনার মনে গেঁথে যাবে। পাইন গাছের জঙ্গল আর ঝিরঝিরে হাওয়ায় মন ভাল হতে বাধ্য।
রিকিসুমে মাঝেমাঝেই বৃষ্টি হয়। তেমন হলেও মন্দ হয় না। সঙ্গীর হাত ধরে রিকিসুমের রাস্তায় ঘুরছেন, আপনার পাশে পাখার ঝাপট দিয়ে উড়ে যেতে পাড়ে অজানা সব পাখি। তাদের রঙে মেঘলা আকাশেও রোদের দেখা মিলবে।
কী ভাবে যাবেন?
হাওড়া থেকে দূরপাল্লার ট্রেনে চেপে নামতে হবে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে। সেখান থেকে গাড়ি ভাড়া করে আসতে হবে কালিম্পং। এখান থেকে গাড়ি করে যেতে হবে রিকিসুম।
কোথায় থাকবেন?
রিকিসুমে প্রচুর হোম স্টে রয়েছে। আসার আগে সেগুলির কোনও একটি বুক করে নিতে পারেন।