ছবি: নরমাডিক উইকেন্ডস
প্রেমের সম্পর্ক ছাঁদনাতলায় পৌঁছালে, সম্পর্কের সমীকরণ কিছুটা হলেও বদলে যায়। দীর্ঘ দিনের চেনা মানুষটিকেও নতুন লাগতে শুরু করে। নতুন করে চিনতে হয়। জানতে হয়। প্রেম করে বিয়ে হোক কিংবা সম্বন্ধ করে, যত্নে একটি সম্পর্কে গড়ে তোলার প্রস্তুতিপর্ব হল মধুচন্দ্রিমা। নতুন সম্পর্কের উদ্যাপন করতে কোথায় যাবেন, তা বেছে নেওয়া সহজসাধ্য নয়। মধুচন্দ্রিমা কাটাতে সব সময় বিদেশ যেতে হবে, তার কোনও মানে নেই। বরং কম খরচে ঘুরে আসতে পারেন ওড়িশার বারিংপোসি থেকে।
ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ জেলায় ঠাকুরানী পাহাড়ের কোলে ছোট্ট জনপদ বাংরিপোসি। বিস্মিত হয়ে দেখার মতো কোনও পর্যটন কেন্দ্র যে এখানে রয়েছে, তা নয়। তবে নতুন বিয়ের পর সঙ্গীর সঙ্গে নিরিবিলি সময় কাটাতে বেছে নিতে পারেন এই জায়গাটি। পাহাড়, জঙ্গল, নদী, আদিবাসী-অধ্যুষিত গ্রাম নিয়েই মনোরম এই জায়গা।
বাংরিপোসির প্রক়ৃতি মায়াময়। দিগন্তবিস্তৃত সবুজ ধানের ক্ষেত, নীল আকাশে ভেসে বেড়ানো তুলোর মতো মেঘ, শান্ত পাহাড় আর খরস্রোতা বুড়িবালাম নদী— মধুচন্দ্রিমার যাপনে যোগ্য সঙ্গত দেবে প্রকৃতি। সঙ্গীর হাতে হাত রেখে ঘুরে আসতে পারেন সুলেইপাত ড্যাম, বাঁকবল ড্যাম, বিসোই হাট, দুয়ারসিনির মন্দির থেকে।
বাংরিপোসির কাছেই রয়েছে শতাব্দীপ্রাচীন সিমলেশ্বরী শিবমন্দির। মন্দির থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরেই বসে হাট। সেখান থেকে আবার কয়েক কিলোমিটার পথ হাঁটলে পৌঁছে যাবেন ডোকরা শিল্পের জন্য বিখ্যাত কুলিয়ানা গ্রাম। প্রকৃতিকে আরও নিবিড় ভাবে পেতে চাইলে চলে যেতে পারেন শাল, সেগুন, মহুয়া, শিমুল, পলাশ গাছে ঘেরা কানচিন্ডা থেকে। এ ছাড়াও রয়েছে বুড়িবালামের শাখানদী কালাবাঁধ। এখান থেকে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের দৃশ্য আপনার মধুচন্দ্রিমাকে আরও রঙিন করে তুলবে।
কী ভাবে যাবেন?
হাওড়া থেকে প্রথমে পাড়ি দিতে হবে বালাসোর। সেখান থেকে গাড়ি ভাড়া করে বাংরিপোসি। এ ছাড়া সড়কপথেও গাড়ি করে যেতে পারেন।
কোথায় থাকবেন?
বাংরিপোসিতে থাকার জন্য বেশ কিছু হোটেল, রিসর্ট, হোম স্টে রয়েছে। পছন্দমতো কোনও একটিতে কয়েক দিনের জন্য আস্তানা তৈরি করে নিলেই হল। তবে যাওয়ার আগে বুকিংটা সেরে রাখলে ভাল।