বেঙ্গালুরু এবং মাইসোরের কাছেই নাগারহোলে জাতীয় উদ্যান। ছবি: সংগৃহীত
ওয়াইল্ড লাইফ ফোটোগ্রাফির শখ আছে? শহরের কোলাহল থেকে দূরে জঙ্গলের নৈঃশব্দ্য, রোমহর্ষকতা উপভোগ করতে বার বার ছুটে যান পেঞ্চ কিংবা কর্বেটের উদ্দেশে। সেখানে হুড খোলা সাফারি ভ্রমণের সময়ে ঢিল ছোড়া দূরত্বে বাঘ দেখার মজাই আলাদা!
ছবি তোলার নেশায় দেশের প্রায় সব বড় অরণ্যই ঘোরা। ভাবছেন এ বার কোথায় যাওয় যায়? আপনার জন্য রইল কয়েকটি রোমাঞ্চকর জঙ্গল সফরের সন্ধান।
সাতপুরা জাতীয় উদ্যান
মধ্যপ্রদেশের একাধিক অরণ্যের মধ্যে এটি অন্যতম। পেঞ্চ কিংবা কানহার জঙ্গলের মতো এই অরণ্য ততটা জনবহুল নয়। তাই চুটিয়ে উপভোগ করতে পারবেন অরণ্যের রোমাঞ্চ। সাতটি পাহাড় দিয়ে ঘেরা এই জঙ্গলে বাঘ, চিতা, নিলগিরি, শাম্বর কিংবা ভাল্লুকের দেখা পেতেই পারেন। পাণ্ডব গুহা, ধূপগড় চূড়া ও একাধিক ঝরনা ও মন্দিরের খোঁজও মিলবে এই অরণ্যে।
নাগারহোলে জাতীয় উদ্যান
বেঙ্গালুরু এবং মাইসোরের কাছেই নাগারহোলে জাতীয় উদ্যান। অনেকেই বলেন, বাঘ দেখা এখানে প্রায় নিশ্চিত। কাবিনী নদী, বিভিন্ন জলপ্রপাত আর ঘন সবুজ অরণ্য— সব মিলিয়ে নাগারহোল অ্যাডভেঞ্চার প্রেমী পর্যটকদের জন্য আদর্শ। বাঘ ছাড়াও রয়েছে হাতি, বাইসন ও অন্যান্য প্রাণী।
প্রতীকী ছবি
সাইলেন্ট ভ্যালি জাতীয় উদ্যান
কেরলের পালক্কড় জেলার উত্তরপূর্ব কোণে অবস্থিত এই অরণ্যটি। এটি উত্তরে নীলগিরি মালভূমি এবং দক্ষিণে মান্নারক্কড়ের সমভূমি বেষ্টিত এই জঙ্গলে বাঘ, চিতা, হাতি, গণ্ডার ও হরিণের খোঁজ পাবেন। প্রায় ১৫০ প্রজাতির পাখিরও দেখা মেলে এই অঞ্চলে।
টলে ভ্যালি
অরুণাচলপ্রদেশ ভারতের অন্যতম সবুজ রাজ্য এবং দেশের কয়েকটি সেরা এবং সবচেয়ে সুন্দর জঙ্গলের অবস্থান। এর মধ্যে সর্বাধিক জনপ্রিয় হল টলে উপত্যকা। জঙ্গল ট্রেকের জন্য এই অঞ্চল আদর্শ। উদ্ভিদ এবং প্রাণীর অপ্রতিরোধ্য বৈচিত্র্যের সম্ভার এই জঙ্গল। চিতা-সহ নানা প্রজাতির প্রাণীর দেখা মেলে এই অঞ্চলে।