ট্রেন সফরের বিভিন্ন মুহূ্র্তে মালাইকা আরোরা। ছবি : ইনস্টাগ্রাম।
কিছু দিন আগে নাকি তাঁর সম্পর্ক ভেঙেছে। দেখলে কেউ বলবে! মালাইকা আরোরার ইনস্টাগ্রাম পোস্ট দেখলে মনে হবে জীবনের সেরা মুহূর্তগুলো এখনই কাটাচ্ছেন তিনি। ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন মালাইকা। ভিডিয়োটি ট্রেন সফরের। ট্রেনে ভ্রমণ করছেন মালাইকা নিজেই। সাধারণত বলিউডের তারকাদের সিনেমার পর্দায় আর প্রচারের প্রয়োজন ছাড়া বাসে-ট্রেনে চাপতে দেখা যায় না। তাঁদের বেড়ানো থেকে কাজের প্রয়োজনে কোথাও যেতে হলে বিমানই ভরসা। কিন্তু ট্রেন সফরেরও আলাদা মজা আছে। যা বিমানে পাওয়া সম্ভব নয়। হালকা চালের দুলুনি, জানলার ওপারে প্রতি মুহূর্তে বদলে যাওয়া দৃশ্যপট, আয়েশ করার পর্যাপ্ত জায়গা। মালাইকা সেই মজা কী ভাবে উসুল করে নিয়েছেন মালাইকা, তা-ই দেখিয়েছেন ভিডিয়োয়।
মালাইকা সফর করেছেন ভারতীয় রেলওয়ের প্রথম শ্রেণির বাতানুকূল কামরায়। ট্রেন সফরে কখনও ফোনে সিনেমা দেখে, কখনও বাড়ি থেকে আনা খাবার দাবার খেয়ে, কখনও ত্বক পরিচর্যায় আবার কখনও জানলার ধারে চোখ রেখে কাটিয়েছেন অভিনেত্রী। ভিডিয়োর ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘‘এক হাতে খাবারের কৌটো আর মুখে ফেসমাস্ক লাগিয়ে জীবনের সেরা সময় কাটাচ্ছি। আর চোখের সামনে দেখছি, কী ভাবে আমার টিমের ছেলে-মেয়েরা খাবারের শেষ কণাটার জন্য বুভুক্ষুদের মতো মারামারি করছে। চলন্ত ট্রেনেই স্বাদু খাবার, পরিচর্যা আর বিনোদনের জোগান পেলে বেড়াতে যাওয়ার কী দরকার!’’
মালাইকার মতোই আপনিও পারেন একঘেয়ে ট্রেন সফরকে মজাদার বানাতে। তবে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখুন।
১। বুঝে শুনে টিকিট কাটুন
ট্রেন সফরের অভিজ্ঞতা নির্ভর করে আপনি কোন শ্রেণির টিকিট কাটছেন তাঁর উপরও। বাজেট কম থাকলে স্লিপার বা দ্বিতীয় শ্রেণির কামরা আদর্শ হতে পারে। তবে যদি ভিড়ের থেকে আলাদা হয়ে একটু নিজের মতো সময় কাটাতে চান, তবে প্রথম শ্রেণির অথবা বাতানুকূল কামরার টকিট কাটুন।
২। নিজের বালিশ এবং কম্বল
যদিও অধিকাংশ ট্রেনে বিছানার জন্য চাদর, বালিশ, কম্বল এবং গায়ে চাপা দেওয়ার চাদর দেওয়া হয়, তবু পারলে নিজের বালিশ, এবং হালকা কম্বল সঙ্গে রাখুন। তাতে ট্রেনের মধ্যেও বা়ড়ির আরাম পাবেন। নিজের জিনিসে স্বাচ্ছন্দ্যও থাকবে বেশি।
৩। আরামদায়ক পোশাক
ট্রেনের পোশাক হবে হালকা, ঢিলেঢালা এবং স্বস্তিদায়ক। তবে বাতানুকূল কামরায় রাতের দিকে যেহেতু তাপমাত্রা কমতে পারে, তাই সঙ্গে হালকা জ্যাকেট রাখলে ভাল।
৪। বাড়ির খাবার সঙ্গে রাখুন
ট্রেনের খাবারের ভরসায় না থেকে বাড়ি থেকেই গুছিয়ে আনুন খাবার। পারলে বিভিন্ন সময়ের খাওয়া দাওয়ার ইচ্ছে বুঝে কিছু মুখ চালানোর খাবার সঙ্গে রাখুন। যাতে ইচ্ছে হলেই হাতের কাছে পাওয়া যায়।
৫। প্রিয় বিনোদন সঙ্গে থাকুক
একা থাকলে কী করতে ভালবাসেন? বই পড়েন, গান শোনেন না কি সিনেমা দেখেন? আগে থেকেই তার ব্যবস্থা রাখুন। যদি গান শুনতে ভালবাসেন তবে পছন্দের গান ডাউনলোড করে রাখুন, সঙ্গে রাখুন গান শোনার ভাল হেডফোন। যদি বই পড়েন, তবে ট্রেন সফরের জন্য নিন হালকা মেজাজের বই, সিনেমা, ওয়েবসিরিজ়ও আগে থেকে ডাউনলোড করে রাখতে পারেন, যাতে ট্রেনে নেটওয়ার্ক না থাকলেও দেখতে অসুবিধা না হয়।
৬। খেলার ব্যবস্থা
বন্ধুদের সঙ্গে বেরোলে আড্ডা মেরেই সময় কেটে যায়। তবে চাইলে ট্রেনে খেলার মতো ইন্ডোর গেমসও রাখতে পারেন সঙ্গে। তবে কিছু না পেলে ট্রেন সফরের চিরকালীন খেলা অন্তাক্ষরী বা ডামসারাড তো থাকলই।