বেড়ানোর খাতে কী ভাবে সঞ্চয় করবেন? ছবি: সংগৃহীত।
বেড়াতে যাওয়ার শখ থাকলেই হয় না। তার জন্য অর্থও জরুরি। ভ্রমণের জন্য সঞ্চয় কী ভাবে করবেন, তার সুষ্ঠু পরিকল্পনা প্রয়োজন। দৈনন্দিন খরচ বাঁচিয়ে যেমন সাশ্রয় করা যায়, তেমনই উপযুক্ত বিনিয়োগেও বাড়তি টাকা হাতে আসতে পারে। কী কী ভাবে বেড়ানোর জন্য টাকা জমাতে পারেন?
সঞ্চয়ের লক্ষ্যমাত্রা
দেশে যেতে চান না বিদেশে, কত দিনের ভ্রমণ পরিকল্পনা, কত জন যাবেন, কোন সময় যাবেন, তার উপর নির্ভর করে খরচ। যেখানে যেতে চাইছেন, সেই জায়গাটি সম্পর্কে বিশদে জেনে নিয়ে খরচের প্রাথমিক লক্ষ্যমাত্রা স্থির করে নিন। সেই মতো কী ভাবে সঞ্চয় শুরু করলে সুবিধা হবে, তার পরিকল্পনা করা দরকার।
মাসিক বাজেট
প্রথমেই দেখে নেওয়া প্রয়োজন মাসের খরচ কতটা হচ্ছে। বিদ্যুতের বিল, গ্যাস, ফোন, খুদের পড়াশোনা, মুদিখানা প্রথমেই অত্যাবশ্যকীয় খাতে কত টাকা প্রয়োজন হচ্ছে, দেখে নিতে হবে। এ বার পারিবারিক আয় কত, সেখান থেকে অত্যাবশ্যকীয় খরচ বাদ দিলে কত টাকা থাকছে, দেখতে হবে। তার মধ্যে একটি অংশ স্বাস্থ্য খাতে, ভবিষ্যতের জন্য রাখার পর একটি অংশ ভ্রমণের জন্য বরাদ্দ করতে পারেন।
অপ্রয়োজনীয় খরচ
দৈনন্দিন জীবনে এমন অনেক কিছুই আমরা কিনে ফেলি বা খরচ করি, যেটা হয়তো না হলেও চলত। অনেকেই প্রয়োজনের অতিরিক্ত পোশাক কেনেন। এ ছাড়া রেস্তোরাঁয় দু’দিন অন্তর খেতে যাওয়া, গয়না কেনা, ধূমপান-সহ এমন অনেক জায়গা আছে, একটু চেষ্টা করলে সেই খাতে খরচ কমিয়ে সঞ্চয় করা সম্ভব হতে পারে। এমন জায়গাগুলি চিহ্নিত করে টাকা বাঁচিয়ে তা ভ্রমণের জন্য ব্যবহার করা যায়।
সকলের সহযোগিতা
বাড়ির এক জন সদস্য রোজগেরে হলেও সকলেই যদি খরচ থেকে একটু একটু করে টাকা জমাতে পারেন, তা হলেও সুবিধা হতে পারে। বড়রা সংসার খরচ বাঁচিয়ে কিছুটা সঞ্চয় করতে পারেন। খুদেকেও মাটির ভাঁড়ে পয়সা ফেলায় উৎসাহ দেওয়া যায়। হয়তো সেই অঙ্কটা খুবই কম হবে, তবে এর মাধ্যমে শিশুও বেড়ানো ও সে জন্য সঞ্চয়ে উৎসাহী হবে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী সঞ্চয়
কোথায় বেড়াতে যাবেন, কত খরচ পড়ব সে সম্পর্কে ধারণা থাকলে সঞ্চয়েও সুবিধা হবে। কত টাকা ভ্রমণের জন্য প্রয়োজন, তা বুঝে নিয়ে মাসে মাসে সঞ্চয় করুন। বেতনভোগী কর্মী হলে, প্রথমেই কিছুটা টাকা ভ্রমণের জন্য সরিয়ে রাখতে পারেন। এতে সুবিধা হবে।
বিনিয়োগ
অর্থ বাঁচিয়ে শুধু ঘরে রাখলেই চলবে না। সঠিক খাতে বিনিয়োগ প্রয়োজন। তবে পুরোটাই ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগে ঢেলে দিলে, বছর শেষে ভ্রমণের ইচ্ছাও জলে যেতে পারে। ঝুঁকিহীন বা কম ঝুঁকিপূর্ণ খাতে বিনিয়োগ করতে পারেন।
আগাম বুকিং
বিমানের টিকিট আগে কাটলে কিছুটা খরচ কম হয়। ঘর আগাম বুকিং করলে অনেক সময়ই খরচ কমে যায়। তাই সঞ্চয়ের পাশাপাশি সঠিক সময়ে বেড়ানোর জন্য বুকিং সেরে রাখুন। অনেক সময় ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারেও ছাড় পাওয়া যায়। এ রকম কিছু সুযোগ থাকলে, তা নেওয়ার চেষ্টা করতে পারেন।