Travel Food

বেড়াতে গেলে, সহজে খারাপ হবে না, এমন কোন কোন খাবার সঙ্গে রাখতে পারেন?

বেড়াতে গেলে লম্বা ট্রেন সফরে প্রয়োজন পড়ে টুকিটাকি খাবারের। সঙ্গে কোন কোন খাবার রাখতে পারেন?

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ অগস্ট ২০২৪ ১৭:২০
Share:

ট্রেনে সঙ্গে নিতে পারেন এই খাবারগুলি। —প্রতীকী ছবি।

বেড়ানো মানেই মনে ভেসে ওঠে দূরপাল্লার ট্রেনের দৃশ্য। মাথায় আসে, একটা লম্বা ট্রেন সফর, আড্ডা, গল্প, হইহই আর খাওয়া। বাড়ি থেকে রান্না করে নিয়ে গিয়ে সকলে ভাগ করে খাওয়ার মজাই আলাদা। আবার ঘণ্টার পর ঘণ্টা ট্রেন যাত্রার একঘেয়েমি কাটাতে মুখরোচক খাবারেরও খোঁজ চলে। কারও ব্যাগ থেকে বের হয় মিষ্টি, কারও ব্যাগ থেকে বাদাম। কখনও আবার স্বাদ বদল হয় ট্রেনে ওঠা ঝালমুড়িতে। সময় কাটে একটা একটা করে চিনে বাদাম ভেঙে খেয়ে।

Advertisement

বেড়ানোর সঙ্গে খাবারের বেশ গভীর একটা যোগ রয়েছে। অনেকের প্রশ্ন থাকে, লম্বা ট্রেন সফরে এমন কী সঙ্গে রাখা যায় যা সহজে খারাপ হবে না। আবার বিমান যাত্রা করলেও সঙ্গে খাবার রাখতে পারেন। বিমানেও কিন্তু টুকটাক খাবার নিয়ে যাওয়া যায়। বিমানে বসে খাওয়াও যায়। অল্প ক্ষিদে থেকে বেশি ক্ষিদে, জেনে নিন কোন কোন খাবার আপনার সফর-সঙ্গী হতে পারে।

থেপলা ও পরোটা

Advertisement

থেপলা ঠান্ডা হয়ে গেলেও দিব্যি খাওয়া যায়। ২-৩ দিনে নষ্ট হওয়ার ভয় নেই। সাধারণত, তরকারি জাতীয় কিছু নিয়ে গেলে দীর্ঘ সফরে তা নষ্ট হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। থেপলা আচার দিয়েই খাওয়া যায়। খেতেও ভাল হয়। ৩ ভাগ আটার সঙ্গে ১ ভাগ বেসন মিশিয়ে, টক দই, টাটকা মেথি পাতা বা কসৌরি মেথি দিয়ে ভাল করে আটা মেখে নিন। আটা মাখার সময় জোয়ান, নুন, হলুদ, কাঁচা লঙ্কা কুচি, গোটা ধনে যোগ করতে পারেন। আটা মাখার পর আধ ঘণ্টা রেখে দিন। তারপর একদম পাতলা রুটির মতো করে বেলে তেলে ভেজে নিলেই তৈরি থেপলা। থেপলা ছাড়াও পরোটা নিতে পারেন।

মুড়ি ভাজা

পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা হলে মুড়ির সঙ্গে থাকে অন্তরের যোগ। আড্ডা, গল্প কোনওটিই মুড়ি আর চা ছাড়া জমে না। ট্রেনের ঝালমুড়ি মাখায় অনেক সময় পরিচ্ছন্নতার অভাবে পেট খারাপ হতে পারে। সেই ঝুঁকি এড়াতে চাইলে ঘরে ভাজা মুড়ি হতে পারে সফর-সঙ্গী। কড়াইতে ২ চামচ সরষের তেল দিয়ে তাতে জিরে ও শুকনো লঙ্কা ফোড়ন দিতে হবে। তারপর পাঁপড় ও বাদাম ভেজে নিয়ে তার সঙ্গে মুড়ি ও ঝুড়ি ভাজা বা পছন্দের চানাচুর দিয়ে ভাল করে ভেজে নিলেই তৈরি মু়ড়ি ভাজা। তেলে ভাজা হলে মুড়ি চট করে মিইয়ে যাওয়ার ভয় থাকে না। খেতেও মুচমুচে লাগে।

মাখানা ও ভাজা বাদাম

বেড়ানোর সময় উল্টোপাল্টা খেলে বিপদ বাড়তে পারে। তার চেয়ে স্বাস্থ্যকর ও মুখরোচক কিছু বেছে নিতে পারেন। ঘি দিয়ে মাখানা ও রকমারি বাদাম যেমন আখরোট, কাঠবাদাম, কাজু হালকা ভেজে নিতে পারেন। সামান্য নুন ও গোল মরিচ যোগ করলে স্বাদ বাড়বে।

কাঁচকলার চিপ‌্স

আলুর বদলে কাঁচকলার চিপ্‌সও রাখতে পারেন সঙ্গে। মুচমুচে চিপ্‌স কিনে নিতে পারেন। আবার কাঁচকলা পাতলা চাকা করে কেটে তেলে ভেজে বাড়িতেও বানিয়ে নিতে পারেন।

চিঁড়ের পোলাও

চিঁড়ের পোলাও মোটামুটি ৭-৮ ঘণ্টা ভালই থাকবে। চিঁড়ে, বাদাম, পেঁয়াজ, কাঁচা লঙ্কা, নুন, হলুদ ও স্বাদ মতো চিনি দিয়ে তেলে ভিজে চিঁড়ে নাড়িয়ে চাড়িয়ে পোলাও বানিয়ে নিতে পারেন।

এই পাঁচটি খাবার ছাড়াও খেজুর, বিভিন্ন ফল সঙ্গে রাখতে পারেন। নিয়ে যাওয়া যায় আরও অনেক কিছুই। কোনটা খেতে ভাল লাগে, কোনটাতে শরীর স্বাস্থ্য ভাল থাকবে, সেই বুঝে খাবার নিন। তবে, সাধারণত তেলে ভাজা খাবার দীর্ঘসময় নষ্ট হয় না। তাই সব্জি জাতীয় খাবার, ভাত এগুলি বাদ দেওয়া ভাল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement