ছবি: সংগৃহীত।
ঘুরতে গিয়ে ছবি তোলেন। কিন্তু সেই ছবি এমন হয় না যে, ইনস্টা বা ফেসবুকে দেওয়া যায়। নানা ধরনের অ্যাপের সাহায্য নিয়ে ছবি এডিট করে না হয় খানিকটা ঝাঁ-চকচকে করে তোলা যেতে পারে। কিন্তু ছবির বিষয়বস্তু পাল্টে দেওয়া যায় না। এই ধরনের সমস্যার জন্য বেশির ভাগ মানুষই ফোন বা ক্যামেরার দোষ দেন। কারও মত, ফোনে ভাল ছবি তোলা যায় না। আবার কেউ বলেন, খুব দামি বা পেশাদার ক্যামেরা না থাকলে ছবিতে কায়দা করা অসম্ভব। পেশাদার ক্যামেরা বা আইফোন তো সকলের পক্ষে কেনাও সম্ভব নয়। তাই ছবি তোলার সময়ে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখলেই পেশাদার চিত্রগ্রাহকের মতো ছবি তুলতে পারবেন।
ছবি তোলার আগে কী কী মাথায় রাখবেন?
১) ক্যামেরাই হোক বন্ধু:
মুঠোফোন হোক বা ডিএসএলআর— ক্যামেরাকে নিজের বন্ধু করে ফেলুন। যে ভাবে বন্ধুর জীবনে নজরদারি করেন, ঠিক সেই ভাবে ক্যামেরার ফিচার নিয়েও নাড়াচাড়া করতে থাকুন। প্রয়োজনে ‘গুগ্ল’-এর সাহায্য নিন। ইউটিউবেও এই সংক্রান্ত নানা ধরনের ভিডিয়ো পাওয়া যায়।
২) ‘লিডিং লাইন্স’ কী?
‘লিডিং লাইন্স’ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকলে ছবি তুলতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। ধরা যাক, সামনে পাহাড় বা কোনও হ্রদের ছবি ক্যামেরাবন্দি করছেন। সে ক্ষেত্রে সামনে বা আশপাশে যদি লম্বা কোনও রাস্তা থাকে তাকে ফ্রেমের মধ্যে রাখার চেষ্টা করুন। তা হলে দর্শকের কাছে ছবির বিষয়বস্তু স্পষ্ট হবে।
৩) ‘রুল অফ থার্ড’ জানতে হবে:
ক্যামেরার যে চৌখুপি পর্দা আছে, তাকে সমান ৯টি (৩x৩) ভাগে ভাগ করে নিন। এ বার ছবির বিষয়বস্তুটিকে একেবারে ওই খোপের মাঝখানে রেখে ছবি তুলতে চেষ্টা করুন। দেখবেন, ছবিতে সব কিছুর সমতা বজায় রয়েছে।
৪) ‘গোল্ডেন আওয়ার’ কী?
যাঁরা ছবি তোলার বিষয়ে দক্ষ, তাঁরা এই সুবর্ণ মুহূর্তের গুরুত্ব জানেন। সাধারণত সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের আগে আকাশ-বাতাসে এমন সোনালি আভা ছড়িয়ে পড়ে। দিনের অন্যান্য সময়ের মতো এই সময়ে আলোর তীব্রতাও খুব বেশি থাকে না। তাই বিশেষ এই সময়টি ছবি তোলার পক্ষে আদর্শ।
৫) নানা দিক থেকে ছবি তুলুন:
ছবির বিষয়বস্তু এক হতেই পারে। কিন্তু ক্যামেরার ‘অ্যাঙ্গল’ বদলে গেলে ছবির মানেও বদলে যায়। দৃষ্টিভঙ্গি বদলালে ছবির সৌন্দর্য অন্য ভাবে ফুটে ওঠে। যেমন, খুব ছোট বিষয়কে বড় করে দেখাতে চাইলে ‘লো অ্যাঙ্গল’ থেকে ছবি তুলতে হবে। আবার, বড় জিনিসকে ছোট দেখানোর জন্য ‘হাই অ্যাঙ্গল’ থেকে ছবি তোলাই শ্রেয়।