বিমানযাত্রায় মালের জন্য বাড়তি খরচ এড়িয়ে চলুন। ছবি: শাটারস্টক।
ঘুরতে যাওয়ার কথা শুনলেই মনে আনন্দের সীমা থাকে না। তবে স্যুটকেস গোছানোর কথা ভাবলেই যেন গায়ে জ্বর আসে! ব্যাগে কী ভরবেন আর কী ভরবেন না বোঝা দায়। বিমানে দেশের মধ্যে ১৫ কিলো মাল হয়ে গেলেই দিতে হয় বাড়তি টাকা। আগেই ভর্তি করে নেন স্যুটকেসে, তা হলে যেখানে বেড়াতে যাচ্ছেন সেখান থেকে কেনাকাটা করতেও সমস্যায় পড়তে হয়। অতিরিক্ত মালপত্রের জন্য বাড়তি টাকা দিতে বড্ড গায়ে লাগে! তবে এখন উপায়?
প্যাকিং করার সময়ে একটু বুদ্ধি প্রয়োগ করলেই আপনি এই ঝক্কি এড়াতে পারেন। বেড়াতে যাওয়ার আগে ব্যাগ গোছানোর সহজ টোটকা জেনে নিন।
১) রোল করে জামা-কাপড় রাখুন: স্যুটকেস গোছানোর সময় জামাকাপড় মুড়িয়ে রাখুন। ব্যাগে সঠিক ভাবে মুড়িয়ে জামা কাপড় রাখতে পারলে আপনার জায়গাও বাঁচবে আর ভাঁজও পড়বে না।
২) প্যাকিং কিউব কিনে নিতে পারেন: প্যাকিং কিউবও ব্যবহার করতে পারেন। এই ধরনের কিউব জিনিসপত্র জায়গায় রাখার জন্য সুবিধেজনক। এই প্রকার প্যাকিং কিউব ব্যবহার করলে অনেক অল্প জায়গায়তেও অনেক প্রয়োজনীয় জিনিস গুছিয়ে নিতে পারেন।
স্যুটকেস গোছানোর জন্য ভ্যাকিউম ক্লিনার ব্যবহার করতে পারেন। ছবি: শাটারস্টক।
৩) ভ্যাকিউম ক্লিনার ব্যবহার করুন: পোশাক সরাসরি একটির উপর অন্যটি না চাপিয়ে পলিথিনের ব্যাগে রাখুন, এক-একটি স্তরের মাঝেমাঝে। তার পর ভ্যাকিউম ক্লিনারের সাহায্য পলিব্যাগের ভিতরের সমস্ত বায়ু বার করে নিন। অনেকটা জায়গা বাঁচবে।
৪) জামাকাপড় অরগানাইজারে ভরুন: একটি একটি অরগানাইজারে এক এক ধরনের জামা-কাপড় ভরে রাখুন। জামাকাপড় সরাসরি ব্যাগে না ভরে অরগানাইজারে ভরে নিলে হাতের কাছে সব জিনিস গোছানো থাকবে আর ব্যাগে জায়গাও বাঁচবে।
৫) অতিরিক্ত ব্যাগ সঙ্গে রাখুন: একটি অতিরিক্ত ফোল্ডিং ব্যাগ রাখুন সঙ্গে। মনে রাখবেন, ব্যাগটি যেন অবশ্যই হালকা হয় যাতে গুটিয়ে মূল ব্যাগের সঙ্গে নিয়ে নেওয়া যায়। অনেক সময় বাইরে ঘুরতে গেলে টুকিটাকি কেনাকাটা করতেই হয়। সেই সব বাড়তি জিনিসপত্রের জন্য আলাদা ব্যাগ নিয়ে যাওয়াই শ্রেয়। প্রয়োজনে ‘হ্যান্ড লাগেজ’ হিসেবেও ব্যাগটি নিয়ে আসতে পারেন।