এক সপ্তাহও কাটেনি, ওঁরা ছিলেন একে অন্যকে হারাতে মরিয়া। মাঠে ধাক্কাধাক্কিও কম হয়নি দু’জনের মধ্যে।
আইএসএল শেষ হতেই দু’জনে ফের একই টিমের ফুটবলার। টিম হোটেলে একই ঘরের বাসিন্দা। ম্যারাথন আইএসএলের ক্লান্তি সত্ত্বেও পাশাপাশি খাটে শুয়ে দু’জনেই স্বপ্ন দেখছেন ফেড কাপ জেতার।
অর্ণব মণ্ডল আর মেহতাব হোসেনআইএসএল ফাইনালে মুম্বইতে প্রথম জন ছিলেন চ্যাম্পিয়ন কলকাতা টিমে। অন্য জন ছিলেন রানার্স কেরল টিমে।
পৃথক মুম্বই মিশন শেষ। এ বার যুগ্ম গোয়া মিশন। একই সঙ্গে লাল-হলুদ জার্সিতে নামছেন দু’জনে। কোচ আর্মান্দো-সহ ইস্টবেঙ্গলের এ মরসুমের গোয়ান ফুটবলাররা ক্রিসমাসের জন্য আগেই চলে গিয়েছেন সেখানে। শুক্রবার সকালে টিমের বাকি প্লেয়ারদের সঙ্গে মারগাও গেলেন মেহতাব এবং অর্ণব। দুপুর তিনটে নাগাদ পৌঁছে বিকেলেই পুরো ইস্টবেঙ্গল টিম নেমে পড়ে অনুশীলনে। ফিরে মেহতাব ফোনে বললেন, “দু’মাসে সতেরোটা ম্যাচ খেলে এসেছি। এমনিতেই প্রচণ্ড ক্লান্ত। তার উপর এক দিন পর-পর ম্যাচ। জানি না কী হবে।”
প্রায় একই মন্তব্য আইএসএলের অন্যতম ধারাবাহিক ডিফেন্ডার অর্ণবের। কাঁধের ব্যথা এখনও সারেনি। জানেন না দলে নতুন যোগ দেওয়া বিদেশি স্টপার সুসাক কেমন? বলছিলেন, “চোটটা পুরো সারেনি। তার উপর এতগুলো ম্যাচ খেলে এসেছি। ক্লান্ত লাগছে।”
আর্মান্দো যতই ঠিক করে থাকুন রোটেশন পদ্বতিতে খেলাবেন ছেলেদের, কিন্তু প্রথম ম্যাচেই (২৯ ডিসেম্বর) যে ডেম্পো! মেহতাব এবং অর্ণব দু’জনেই মানছেন প্রথম ম্যাচ সব সময় গুরুত্বপূর্ণ। “গ্রুপের প্রথম ম্যাচ জিততেই হবে,” বললেন মেহতাব। অর্ণবের মন্তব্য, “ডেম্পো ভাল টিম। কিন্তু আমাদের খেলতেও হবে, জিততেও হবে। ”
এ দিকে, গোয়ার মাটিতে ফেড কাপে ইস্টবেঙ্গল যেন গোয়ান জুটির আশ্রয় নিয়েছে। এমনিতেই ক্লাবের অন্যতম শীর্ষকর্তা হাজতে। অন্য কর্তাদের মধ্যে হতাশা প্রকট। অনেক কর্তাই মাঠে আসছেন না। এই অবস্থায় গোয়া-জয়ের জন্য গোয়ান কোচ আর্মান্দোর সঙ্গে ম্যানেজার হিসাবে দলের সবচেয়ে সিনিয়র ফুটবলার অ্যালভিটোকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনিই মারগাওতে এ দিন মাঠ ঠিক করে ইস্টবেঙ্গল দলকে অনুশীলন করাতে নিয়ে যান। বলছিলেন, “এত দিন টিমের ভিতরে থেকে কাজ করেছি। খেলেছি। এ বার টিমের বাইরে থেকেও কাজ করতে হবে।”
ডুডু-র্যান্টিদের দেড় ঘণ্টার অনুশীলনে দল গড়ে খেলাননি আর্মান্দো। মূলত রিকভারি সেশনে যা করানো হয় তা-ই করিয়েছেন কোচ। শনিবার থেকে তিনি দু’টো বিষয়ে নজর দেওয়ার কথা ভেবে রেখেছেন।
এক) লেফট ব্যাক সমস্যা কাকে দিয়ে মেটানো যায়।
দুই) স্টপারে অর্ণব-সুসাকের মধ্যে বোঝাপড়া তৈরি করা। হাতে সময় দু’দিন। দেখার আর্মান্দো-অ্যালভিটো জুটি সমস্যা সমাধানে কতটা সফল হন!