(বাঁ দিকে) ববিতা ফোগাট। বিনেশ ফোগাট (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
হরিয়ানার বিধানসভা ভোটে কি এ বার ফোগাট বনাম ফোগাট। এক দিকে বিনেশ ফোগাট। অন্য দিকে তাঁর খুড়তুতো দিদি ববিতা ফোগাট। এমনই এক সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। প্যারিস অলিম্পিক্সের পর কুস্তি থেকে অবসর নিয়েছেন বিনেশ। এ বার কি রাজনীতির ময়দানে দেখা যাবে তাঁকে?
সংবাদমাধ্যমে এই বিষয়ে মুখ খুলেছেন বিনেশের পরিবারের ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তি। তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয় যে, বিনেশকে কি ভবিষ্যতে রাজনীতিতে দেখা যাবে? জবাবে তিনি বলেন, “হতেই পারে। হরিয়ানার বিধানসভা নির্বাচনে বিনেশ বনাম ববিতা এবং বজরং পুনিয়া বনাম যোগেশ্বর দত্তের লড়াই দেখা যেতেই পারে। বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল ওদের রাজি করানোর চেষ্টা করছে।”
বিনেশ অবশ্য স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, রাজনীতিতে নামার কথা ভাবছেন না তিনি। তবে তাঁকে স্বাগত জানাতে দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দেখা গিয়েছিল কংগ্রেস সাংসদ দীপেন্দ্র হুডাকে। পরে হরিয়ানায় বিনেশের গ্রাম বলালিতেও বেশ কয়েক জন কংগ্রেস নেতাকে দেখা গিয়েছিল। যদিও বিনেশ রাজনীতিতে যোগ দিলে কোন দলে যোগ দেবেন সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি।
একটা কথা স্পষ্ট করে বলে দেওয়া যায়, আর যাই হোক বিজেপির হয়ে ভোটে লড়বেন না। কারণ, ভারতীয় কুস্তির অপসারিত কর্তা ও বিজেপি সাংসদ ব্রিজভূষণ শরণ সিংহের বিরুদ্ধে অলিম্পিক্সের আগে আন্দোলনে বসেছিলেন বিনেশ। তিনি, সাক্ষী মালিক, বজরংরা কার্যত বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে। সেই সময় কংগ্রেস এবং আপ নেতারা পাশে দাঁড়িয়েছিলেন বিনেশদের। ফলে বিনেশ যদি সত্যিই ভোটে দাঁড়ান, তবে কাদের হয়ে লড়বেন, তা মোটামুটি স্পষ্ট। দিল্লির যন্তর মন্তরের ওই আন্দোলনে শামিল হননি ববিতা।
অলিম্পিক্স থেকে দেশে ফেরার পর ফোগাট পরিবারের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসে। সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে একটি পোস্ট করেছিলেন বিনেশ। সেখানে কাকা বা খুড়তুতো বোনেদের কারওর নাম ছিল না। ববিতা এর সমালোচনা করে বলেছিলেন, বিনেশের অন্তত কাকা মহাবীরকে কৃতজ্ঞতা জানানো উচিত ছিল।
প্যারিস অলিম্পিক্সে কুস্তিুর ৫০ কেজি বিভাগে ফাইনালে উঠেছিলেন বিনেশ। কিন্তু ফাইনালে নামার দিন সকালে তাঁর ওজন ১০০ গ্রাম বেশি ছিল। ফলে তাঁকে বাতিল করা হয়েছিল। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালতে আবেদন করেছিলেন বিনেশ। রুপো দেওয়ার দাবি করেছিলেন তিনি। সেই আবেদন খারিজ হয়েছে। খালি হাতে দেশে ফিরেছেন তিনি।