রবিবার যুবভারতীর সামনে সমর্থকদের প্রতিবাদ। —ফাইল চিত্র।
আরজি কর-কাণ্ডের পর বাতিল হয়ে গিয়েছিল রবিবারের ডার্বি ম্যাচ। সে দিনই বিকেলে প্রতিবাদ জানান সমর্থকেরা। একসঙ্গে পথে নেমেছিলেন ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান সমর্থকেরা। সেই প্রতিবাদ হবে মঙ্গলবারও। হাওড়ার ডুমুরজলা স্টেডিয়ামে জড়ো হবেন দুই দলের সমর্থকেরা। বুধবার পথে নামবেন খেলোয়াড়েরাও। প্রাক্তন এবং বর্তমান খেলোয়াড়েরা ময়দানে গোষ্ঠ পালের মূর্তির পাদদেশে জমায়েত করবেন।
প্রাক্তন অ্যাথলিট সোমা বিশ্বাসেরা ময়দানে ক্রীড়াবিদদের জড়ো হওয়ার ডাক দিয়েছেন। আনন্দবাজার অনলাইনকে তিনি বললেন, “বুধবার ময়দানে গোষ্ঠ পালের মূর্তির নীচে আমরা জড়ো হব। প্রাক্তন এবং বর্তমান খেলোয়াড়দের আহ্বান জানিয়েছি আমরা। অনেকেই যোগ দেওয়ার কথা বলেছেন। আরজি কর-কাণ্ডে সুবিচার চাই। আমাদের এই একটাই দাবি। গোষ্ঠ পালের মূর্তির নীচে জমায়েত করার পর আমরা সিদ্ধান্ত নেব যে, আদৌ ওখান থেকে কোনও মিছিল করব কি না। সেটা পরিস্থিতির উপর নির্ভর করবে।”
সমাবেশ হবে ডুমুরজলাতেও। মহামেডান, মোহনবাগান এবং ইস্টবেঙ্গল সমর্থকেরা সেখানে জড়ো হবেন। আরজি কর-কাণ্ডে দোষীদের শাস্তি ছাড়াও তাঁদের প্রতিবাদ যুবভারতীর সামনে তিন দলের সমর্থকদের উপর পুলিশের লাঠিচার্জের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জড়ো হবেন সমর্থকেরা। একই দাবিতে সমাবেশ হবে ব্রতিসঙ্ঘের মাঠেও।
গত রবিবার যুবভারতীতে ছিল ডুরান্ড কাপের গ্রুপ পর্বের ম্যাচ। মোহনবাগান এবং ইস্টবেঙ্গলের সেই ম্যাচ ঘিরে উৎসাহ ছিল তুঙ্গে। কিন্তু সেই ম্যাচে সমর্থকদের সঙ্গে দুষ্কৃতীদের মিশে যাওয়ার আশঙ্কা করেছিল পুলিশ। সেই কারণে ম্যাচ বাতিল করে দেওয়া হয়। যা মেনে নিতে পারেননি সমর্থকেরা। তাঁরা যুবভারতীর সামনে জমায়েত করেন। দুই দলের সমর্থকদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিল মহামেডানের সমর্থকেরাও। সেই জমায়েতে লাঠি চালায় পুলিশ। যা নিয়ে আরও বেশি করে ক্ষোভ তৈরি হয় সমর্থকদের মধ্যে।