উইম্বলডন ফাইনালে নোভাক জোকোভিচকে হারাতে মরিয়া মাত্তেয়ো বেরেত্তিনি। ফাইল চিত্র
অল ইংল্যান্ড টেনিস ক্লাব থেকে ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামের দূরত্ব সড়ক পথে মাত্র সওয়া এক ঘণ্টা। রবিবার এক জায়গায় উইম্বলডনের পুরুষদের সিঙ্গলসের । অন্য স্টেডিয়াম সেজে উঠেছে ইউরো কাপের মহা ফাইনালের জন্য। দুটোতেই থাকছে ইটালির প্রতিনিধিত্ব।
তাই রবিবার অগণিত ইটালীয়র কাছে বিশেষ দিন। ইটালির প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে সেন্টার কোর্টে ফাইনালে নামতে চলেছেন মাত্তেয়ো বেরেত্তিনি। প্রতিপক্ষ পাঁচ বারের বিজয়ী নোভাক জোকোভিচ। তেমনই আবার ইউরো ফাইনালে হ্যারি কেনের ইংল্যান্ডের ইতিহাস গড়ার মাঝে দাঁড়িয়ে রয়েছে রবের্তো মানচিনির ইটালি। স্বভাবতই তেতে রয়েছেন ২৫ বছরের এই টেনিস খেলোয়াড়। নিজের জয় দিয়ে শুরু করে মানচিনিদের জয় দেখে শেষ করতে চান। জানিয়ে দিলেন, ইটালীয়দের জন্যই উইম্বলডন ফাইনাল জিততে চাইছেন। আর সেই জয়ের পর ইউরো কাপ জেতার প্রার্থনা করবেন তিনি।
উইম্বলডন জিতে রবের্তো মানচিনির ইটালির জন্য গলা ফাটাবেন মাত্তেয়ো বেরেত্তিনি। ফাইল চিত্র।
সেমি ফাইনালে হুবার্ট হুরকাজকে ৬-৩, ৬-০, ৬-৭ (৩-৭), ৬-৪ গেমে হারানোর পর দেশের ক্রীড়াপ্রেমীদের উদ্দেশে বেরেত্তিনি বলেন, “আপনারা সবাই আধুনিক মানের টেলিভিশন কিনে ফেলুন। কারণ রবিবার দিনটা ইটালীয়দের কাছে মনে রাখার মতো হতে চলেছে। যদি উইম্বলডনের কথা বলেন তাহলে বলতে বাধ্য হচ্ছি আমার উপর কেউ বাজি ধরেনি। তবে বাস্তব হল ইটালির এক যুবক সেন্টার কোর্টে নামতে চলেছে। আমি শুধু ফাইনাল খেলতে আসিনি। শেষ যুদ্ধটাও জিততে চাই। তাই সবাই দেশের জন্য, আমার জন্য গলা ফাটান। কারণ এটা আমাদের দেশের কাছে এক বিশেষ দিন।”
এরপরেই তাঁর সংযোজন, “২০১৮ সালে আমাদের দেশ বিশ্বকাপ খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি। তবে তিন বছর কঠোর পরিশ্রম করে আমাদের দেশ ইউরো কাপের ফাইনাল খেলতে নামবে। লিয়োনার্দো বোনুচ্চি, জর্জে কিয়েল্লিনি, মার্কো ভেরাত্তির মতো ফুটবলারদের জন্যই আমাদের দেশ ফাইনাল খেলবে। আর মাত্র এক ধাপ। আমার মতো অগণিত ইটালীয়র কাছে রবিবার হল গর্ব করার দিন। তাই ইটালীয়দের জন্য উইম্বলডন জিতে ইউরো ফাইনালের জন্য চিৎকার করব।”