আত্মবিশ্বাসী: খেতাবের লড়াইয়ে প্রস্তুত কিয়েল্লিনিও। ফাইল চিত্র
ইটালি বনাম ইংল্যান্ড দ্বৈরথের অপেক্ষায় সমর্থকেরা। সারা বিশ্বের ফুটবলপ্রেমীরা তাকিয়ে রয়েছেন এই মহারণের দিকে।
দু’দলই তরুণ ফুটবলারদের নিয়ে সাফল্য পেতে শুরু করেছে। কিন্তু অভিজ্ঞতার মিশ্রণ দুই দলকে অন্য মাত্রায় নিয়ে গিয়েছে। ইটালির রক্ষণ ভাগ যেমন অভিজ্ঞ, তেমনই ইংল্যান্ডের আক্রমণ ভাগে অভিজ্ঞতার ছাপ স্পষ্ট। লড়াইটা হতে চলেছে লিয়োনার্দো বোনুচ্চি, জর্জে কিয়েল্লিনির সঙ্গে হ্যারি কেন, রাহিম স্টার্লিংদের।
ম্যাচের দু’দিন আগেই ৩৬ বছর বয়সি কিয়েল্লিনির হুঙ্কার, ‘‘কেনকে সমীহ করলেও ভয় পাচ্ছি না।’’ ইংল্যান্ডের তারকা স্ট্রাইকারের বিরুদ্ধে খেলার অভিজ্ঞতাও রয়েছে তাঁর। উয়েফা-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কিয়েল্লিনি বলেছেন, ‘‘খুবই কঠিন দ্বৈরথ হতে চলেছে। বড্ড কঠিন। হ্যারি কেনকে আমার বরাবরই ভাল লাগে। ২০১৫ সালে তুরিনে ওর বিরুদ্ধে খেলার সময়ই বুঝেছি, ভয়ঙ্কর স্ট্রাইকার। ওদের সমীহ করছি। তবে ভয় পাওয়ার কোনও কারণ দেখছি না।’’ যোগ করেন, ‘‘হ্যারি ইতিবাচক স্ট্রাইকার। এমনকি রক্ষণ ভেদ করে দুরন্ত পাস দিয়ে গোল করতেও সাহায্য করে। কেনকে নিয়ে আমরা নিশ্চয়ই ছক তৈরি করব।’’
কিয়েল্লিনি মনে করেন, ইংল্যান্ডের রিজার্ভ বেঞ্চের প্রত্যেকেই মূল দলে খেলার দাবিদার। অভিজ্ঞ ডিফেন্ডারের কথায়, ‘‘জ্যাক গ্রিলিশ, জাডন স্যাঞ্চো, ডমিনিক ক্যালভার্ট-লুইন, মার্কাস র্যাশফোর্ড এবং ফিল ফডেনকে চাইলেই প্রথম দলে খেলানো যেতে পারে। এমনকি জর্ডান হেন্ডারসনও প্রথম একাদশে খেলার দাবিদার। ওরা কখনও ক্লান্ত হবে না। সেই অনুযায়ী আমাদের খেলতে হবে।’’ তবে ৩৬ বছর বয়সি কিয়েল্লিনির কাছে এটাই বড় প্রতিযোগিতা জেতার সুযোগ। তাই সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপাতে চান তিনি। তারকা ডিফেন্ডারের কথায়, ‘‘বিশ্বকাপ জয়ের দলে আমি ছিলাম না। এটাই আমার প্রথম বড় প্রতিযোগিতা জেতার সুযোগ। কোনও ভাবেই যা নষ্ট হতে দিতে চাই না। এত দিনের পরিশ্রম এই দিনেই কাজে লাগাতে হবে। ওয়েম্বলিতে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মতো অনুভূতি আর কী হতে পারে?’’
তারকা মিডফিল্ডার মার্কো ভেরাত্তিও আত্মবিশ্বাসী। তিনি বলেছেন, ‘‘বিশ্বকাপ খেলতে না পারার পরে প্রত্যেকেই হতাশ ছিল। সমর্থকেরাও ভেঙে পড়েছিলেন। তাঁদের মুখে হাসি ফিরিয়ে দেওয়ার এটাই সুযোগ। আমরা তৈরি।’’