ইডেনে ফের দেখা যেতে চলেছে এই দৃশ্য। ফাইল ছবি
রাজ্যের ক্রীড়াপ্রেমীদের জন্য সুখবর। এ বার থেকে স্টেডিয়ামে বসেই খেলা দেখতে পারবেন দর্শকরা। বুধবার এই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে রাজ্য সরকার। ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ‘কন্টেনমেন্ট জোন’-এর আওতার বাইরে ‘আউটডোর স্পোর্টস’-এর জন্য সমস্ত স্টেডিয়াম এবং স্পোর্টস কমপ্লেক্স খুলে দেওয়া হচ্ছে। তবে সংশ্লিষ্ট স্টেডিয়ামে যতগুলি আসন সংখ্যা, ততজনকেই প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে। পাশাপাশিই, কোভিড পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে না আসায় সামাজিক দূরত্বের মতো বেশ কিছু নিয়ম এখনও মানতে হবে দর্শকদের।বিজ্ঞপ্তিতে একইসঙ্গে জানানো হয়েছে, খুলে দেওয়া হবে রাজ্যের সমস্ত সুইমিং পুলও। তবে সেখানেও মানতে হবে নিয়মকানুন। নিয়মিত জল পরিষ্কার রাখতে হবে এবং ক্লোরিন মেশাতে হবে।
রাজ্য সরকারের এই বিজ্ঞপ্তি অবশ্য প্রত্যাশিতই ছিল। কিছুদিন আগেই কেন্দ্রীয় সরকারের ক্রীড়া এবং যুবকল্যাণ মন্ত্রক দর্শকদের জন্য স্টেডিয়াম খোলার অনুমতি দিয়েছিল। এর পরেই সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড জানিয়ে দেয়, চেন্নাইয়ে দ্বিতীয় টেস্টে দর্শকদের প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে। আমদাবাদের মোতেরায় নবরূপে সজ্জিত স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠেয় শেষ দু’টি টেস্টও গ্যালারি থেকে দেখতে পারবেন দর্শকেরা। তবে গোয়ায় এই মুহূর্তে জৈবসুরক্ষা বলয়ে আইএসএল চললেও সেখানে দর্শকদের প্রবেশের ব্যাপারে কোনও কথা বলা হয়নি।
বুধবার রাজ্য সরকারের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সামাজিক দূরত্ব মানতে হবে তো বটেই। পাশাপাশি যে কোনও ইভেন্টের আগে, মাঝখানে এবং পরে সংশ্লিষ্ট এলাকা ‘স্যানিটাইজ’ করতে হবে। সমস্ত দর্শককে মাস্ক পরতে হবে এবং সঙ্গে স্যানিটাইজার রাখতে হবে। যাঁরা সেই মুহূর্তে মাঠে নেই, সেই সমস্ত ক্রীড়াবিদ এবং কোচদেরও মাস্ক এবং স্যানিটাইজার ব্যবহার বাধ্যতামূলক। রাজ্যে শেষ বার কোনও স্টেডিয়ামে প্রচুর দর্শক হাজির হয়েছিলেন কল্যাণীতে মোহনবাগান বনাম আইজল এফসি-র ম্যাচে। পাপা বাবাকর জিয়োহারার একমাত্র গোলে আইজলকে হারিয়ে দ্বিতীয়বার আই লিগ জেতে মোহনবাগান। কোভিড-আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় এরপরেই স্টেডিয়ামে দর্শকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। গোয়ায় গত মরশুমের আইএসএল ফাইনাল হয়েছিল রুদ্ধদ্বার স্টেডিয়ামে। গত বছরের ২৪ মার্চ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ডাকে জনতা কার্ফু জারি হয়েছিল। এর পর থেকে গোটা দেশজুড়ে বন্ধই হয়ে গিয়েছিল খেলাধুলো।
গত একমাস ধরে রাজ্য এবং দেশে কোভিড-আক্রান্তের সংখ্যা কমছে। মঙ্গলবার রাজ্যে কোভিড-আক্রান্ত হয়েছিলেন ২০৩ জন। দেশে সেই সংখ্যা ১১ হাজারের আশেপাশে। সুস্থ হওয়ার মাত্রাও ক্রমশ বাড়ছে। মঙ্গলবার পর্যন্ত রাজ্যে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ছিল ৫,৩০৫। তার থেকেও বড় ব্যাপার, গোটা দেশে এই মুহূর্তে খেলাধুলো চালু হয়ে গিয়েছে। সম্প্রতি ইডেন গার্ডেন্সে সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির ম্যাচ আয়োজিত হলেও সেখান দর্শকদের প্রবেশের অনুমতি ছিল না। রাজ্য সরকারের এই নির্দেশের পরে সে কারণেই খুশি ক্রীড়াপ্রেমীরা।