Glenn Maxwell

মানসিক সমস্যায় আমিও জেরবার ছিলাম, ম্যাক্সওয়েলকে সমর্থন করে বললেন কোহালি

বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সিরিজের প্রথম টেস্টের আগে কোহালি বললেন যে, তিনি নিজেও এমন পরিস্থিতিতে পড়েছিলেন। যখন কোনও কিছুই ঠিকঠাক হয় না, খুবই অসহায় লাগে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ইনদওর শেষ আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০১৯ ১৬:৩৯
Share:

ম্যাক্সওয়েলের মতো সমস্যায় তিনিও পড়েছিলেন, জানালেন কোহালি।

মানসিক সমস্যার কারণে ক্রিকেট থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটি নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার অলরাউন্ডার গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। তাঁর সেই সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানালেন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহালি।

Advertisement

বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সিরিজের প্রথম টেস্টের আগে কোহালি বললেন যে, তিনি নিজেও এমন পরিস্থিতিতে পড়েছিলেন। যখন কোনও কিছুই ঠিকঠাক হয় না, খুবই অসহায় লাগে। তাঁর কথায়, “বিশ্ব জুড়ে ক্রিকেটারদের কাছে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ম্যাক্সওয়েল। মানসিক দিক দিয়ে সেরা জায়গায় থাকলে যতই চেষ্টা করা হোক না কেন, এমন পরিস্থিতি আসে যখন নিজেকে সময় দিতে হয়। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে স্কোয়াডে থাকা প্রত্যেক ক্রিকেটারেরই নিজের মনের কথা খুলে বলার অধিকার থাকা উচিত। আর সেই কারণেই দারুণ কাজ করেছে গ্লেন।”

এই প্রসঙ্গে নিজের অভিজ্ঞতাকে তুলে ধরেছেন বিরাট কোহালি। ২০১৪ সালের ইংল্যান্ড সফরের কথা বলেছেন তিনি। সেই টেস্ট সিরিজে ১০ ইনিংসে ১৩.৪০ গড়ে ১৩৪ রান এসেছিল তাঁর ব্যাট থেকে। সেই ব্যাপারে কোহালি বলেছেন, “কেরিয়ারে এমন সময় এসেছিল যখন মনে হচ্ছিল যে এটাই দুনিয়ার শেষ। বুঝতে পারছিলাম না কী করব, কী ভাবে কথা বলব, কী ভাবে কমিউনিকেট করব।”

Advertisement

আরও পড়ুন: আমার কেরিয়ারে নেমেসিস ছিল হরভজন, স্বীকারোক্তি গিলক্রিস্টের​

আরও পড়ুন: বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে ধোনিকে টপকে যাওয়ার হাতছানি ঋদ্ধির সামনে​

মানসিক সমস্যার কথা বললে তা কী ভাবে গ্রহণ করা হবে, তা জানা না থাকায় এটা বলাও কঠিন বলে জানিয়েছেন কোহালি। তাঁর মতে, “সত্যি বলতে, আমি বলতে পারতাম না যে মানসিক ভাবে দারুণ জায়গায় নেই। আর এই ম্যাচ খেলতে চাইছি না। কারণ, এটা বললে তা কী ভাবে নেওয়া হবে, তা জানতাম না। জেরবার হয়ে যাচ্ছিলাম আমি।”

কেউ যখন খেলা চালিয়ে যাওয়ার মানসিকতায় নেই, তখন ছুটি নেওয়াই উচিত বলে জানিয়েছেন কোহালি। তাঁর যুক্তি, “হাল ছেড়ে দিতে বলছি না। তবে নিজের সঙ্গে সময় কাটানো দরকার। খেলা চালিয়ে যাওয়ার অবস্থায় না থাকলে এটা করাই ভাল। আর এটাকে মোটেই নেতিবাচক ভাবে নেওয়া উচিত নয়। এটা যে কোনও পর্যায়ে যে কোনও লোকের ক্ষেত্রেই হতে পারে। এটাকে বরং পজিটিভ ভাবেই গ্রহণ করা উচিত।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement