বরুণ চক্রবর্তী, ক্রিকেটার।
ভারতীয় দলের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই ইয়ো ইয়ো টেস্টের নিয়ম শুরু করেছেন বিরাট কোহলী ও প্রধান প্রশিক্ষক রবি শাস্ত্রী। তাঁদের স্পষ্ট বক্তব্য শুধু বাইশ গজের যুদ্ধে নিজেদের মেলে ধরলেই চলবে না, ফিটনেস পরীক্ষায় অবশ্যই পাশ করতে হবে। আর জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় মাপকাঠি হল ফিটনেসের চূড়ান্ত পর্যায়ে থাকতে হবে। তবে বরুণ চক্রবর্তী, সঞ্জু স্যামসন, অম্বাতি রায়ুডুর মত ক্রিকেটাররা ফিটনেস পরীক্ষায় পাশ করতে পারেননি। সেটা নিয়ে যেমন প্রশ্ন উঠছে, তেমনই আরও বড় প্রশ্ন হল বরুণ চক্রবর্তীর ফিটনেসের খবর না নিয়ে কেন তাঁকে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি দলে রাখা হল? এই তালিকায় মহম্মদ শামিরও নাম রয়েছে। কারণ, এই জোরে বোলারও এর আগে ফিটনেস পরীক্ষায় পাশ করতে ব্যর্থ হয়েছেন।
বরুণ চক্রবর্তী: অস্ট্রেলিয়ার পর ইংল্যান্ড, দুবার টি-টোয়েন্টি দলে তাঁকে নিয়েছিল জাতীয় নির্বাচক কমিটি। ফের ফিটনেস পরীক্ষায় ফেল করলেন বরুণ চক্রবর্তী। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজে সুযোগ পেলেও সে বার চোট পাওয়ায় বাদ পড়েন দল থেকে। এ বার ফের তাঁকে সুযোগ দেওয়া হয়। তবে ইয়ো ইয়ো পরীক্ষা এবং ২ কিলোমিটার দৌড়ের পরীক্ষায় পাশ করতে পারলেন না তিনি। গত আইপিএলের পর কোনও প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলেননি বরুণ। সৈয়দ মুস্তাক আলি বা বিজয় হজারে ট্রফিতেও খেলেননি। সেক্ষেত্রে এমন একজন ক্রিকেটারের ফিটনেস সম্পর্কে খোঁজ না নিয়েই কেন দলে নেওয়ার জন্য নাম ঘোষণা করা হল, সেই নিয়েও বিসিসিআইয়ের অন্দরে প্রশ্ন উঠছে।
অম্বাতি রায়ুডু: ২০১৮ সালে আইপিএলে নিজেকে মেলে ধরার পর জাতীয় দলে ডাক পেয়েছিলেন এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান। তবে ইংল্যান্ড সফরে একদিনের সিরিজে তাঁকে নেওয়া হলেও দলের সঙ্গে সফর করতে পারেননি। কারণ তিনি ইয়ো ইয়ো পরীক্ষায় ব্যর্থ হন। তবে পরবর্তী সময় তিনি আবার পরীক্ষায় পাশ করে জাতীয় দলে ফিরে আসেন।
সঞ্জু স্যামসন: এর আগে ইংল্যান্ড এ সফরের দলের জন্য তাঁকে বেছে নাওয়া হলেও এই উইকেট রক্ষক ইয়ো ইয়ো পরীক্ষা পাশ করতে পারেননি। ফলে তাঁর জায়গায় সুযোগ পেয়ে যান ঋষভ পন্থ। এ বারও সেই একই ঘটনা ঘটল। এ বারও কেরলের এই ক্রিকেটার ফিটনেস পরীক্ষা পাশ করতে পারেননি। তাই তরুণ ঈশান কিষাণকে দলে নেওয়া হয়েছে।
মহম্মদ শামি: জাতীয় দলের এই তারকা জোরে বোলারও একবার ইয়ো ইয়ো টেস্ট পাশ করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন। দেশের মাটিতে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে একমাত্র টেস্টের আগে ফিটনেস পরীক্ষায় ফেল করেন। তবে পরবর্তী সময়ে এই ইয়ো ইয়ো টেস্ট পাশ করে ২০১৬ সালে ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৩টি টেস্টে ১৬ উইকেট নেন শামি।