আন্তোনিয়ো লোপেজ হাবাস।
এই দলটার কাছে চলতি আইএসএলে দু’বার হারতে হয়েছে। দ্বিতীয় লেগে হেরে যাওয়ার জন্য এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেলতে পারেনি এটিকে মোহনবাগান। এ বার সার্জিও লোবেরার সেই মুম্বই সিটি এফসি-কে ফাইনালে হারাতে মরিয়া আন্তোনিয়ো লোপেজ হাবাস। এর প্রথম কারণ হল, ফাইনাল জিতলেই নজির গড়বে সবুজ-মেরুন। কারণ আবির্ভাবেই ফাইনালে গিয়ে প্রতিযোগিতা জেতার নজির আইএসএলে নেই। একই সঙ্গে এই ফাইনাল জিতলেই প্রশিক্ষক হিসেবে হ্যাটট্রিক করে ফেলতে পারেন স্প্যানিশ কোচ। তবে তাঁর দলকে রুখে দেওয়ার জন্য তৈরি হয়ে রয়েছেন আর এক স্প্যানিশ লোবেরা।
যদিও হাবাস কিন্তু পুরনো কাসুন্দি ঘাঁটতে চাইছেন না। বরং ম্যাচে নামার আগে সাংবাদিক সম্মলেনে বলে দিলেন, “গত দুটো ম্যাচ নিয়ে ভেবে লাভ নেই। প্রথম ম্যাচে আমরা গোল করতে পারতাম। গত ম্যাচে ওরা সেট পিস থেকে গোল করেছিল। তাই এই ম্যাচে আমরা সেই ভুলের পুনরাবৃত্তি করব না। কারণ এটা ফাইনাল।”
এদু গার্সিয়ার ডান পায়ের ঊরুর চোট এখনও সারেনি। তাই ফাইনালে খেলার সম্ভাবনা নেই। তবে পুরনো ভুল আর করতে রাজি নন হাবাস। তাই সেট পিস আটকানোর জন্য দলকে একনাগাড়ে অনুশীলন করিয়েছেন। সেটাও বুঝিয়ে দিলেন তিনি। হাবাস বলছেন, “আমরা ভাল দল বলেই ফাইনাল খেলতে নামছি। আমাদের উপর অনেকে ভরসা করে আছে। তাই আমাদের জিততেই হবে। ফলে একফোঁটাও ভুল করা চলবে না।”
দুই স্প্যানিশের লড়াই দেখার জন্য সবাই যখন চোখ রাখছেন, তখন হাবাস কিন্তু লোবেরাকে যথেষ্ট সমীহ করছেন। বলছেন, “লোবেরা কত বড় কোচ সেটা ওঁর রেকর্ড দেখলেই বোঝা যায়। মুম্বই দল নিয়েও আমার নতুন ভাবে কিছু বলার নেই। সেটা ওদের ফলাফল দেখলেই বোঝা যায়।”
এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে সাডেন ডেথে জিতে ফাইনালের টিকিট অর্জন করেছিল মুম্বই। ফলে বোঝা যাচ্ছে লড়াকু মানসিকতা নিয়েই মাঠে নামছেন কালু ওগবেচে, মন্দার রাও দেশাই, অ্যাডাম লে ফন্দ্রে, জ্যাকিচাঁদ সিংহরা। যদিও লোবেরা বলছেন, “ফাইনাল ম্যাচ সবসময় আলাদা। বাড়তি চাপ থাকবে। তাই ওদের বিরুদ্ধে গত দুটো ম্যাচে কী ফলাফল হয়েছে সেটা ভেবে লাভ নেই।’’
১১৪ ম্যাচ, ২৯৫ গোল, ৮৭,৮১১ পাস ও ৭৩০৭টি ট্যাকেলের পর এ বার ফতোরদা স্টেডিয়ামে ফাইনাল। হাবাস কি প্রথম প্রশিক্ষক হিসেবে আইএসএল জয়ের হ্যাট্রিক করে নজির গড়তে পারবেন? নাকি সার্জিও লোবেরা চলতি আইএসএলে এটিকে মোহনবাগানকে হারিয়ে জয়ের হ্যাটট্রিক করার সঙ্গে ট্রফিও হাতে তুলবেন? সেটাই দেখার।