স্তারকোভস্কি বলেন, “আমি এখানে জন্মেছি। আমার দাদু-দিদাকে এখানে কবর দেওয়া হয়েছে। আমি এমন ইতিহাস তৈরি করতে চাই যা আমার সন্তানদের বলতে পারব। রাশিয়ার দেওয়া স্বাধীনতা কেউ চায় না। সবার স্বাধীনতা রয়েছে। রাশিয়া এই দেশকে গরিব করতে চায়।”
—ফাইল চিত্র
দুবাইতে পরিবারের সঙ্গে ছুটি কাটাচ্ছিলেন ইউক্রেনের টেনিস খেলোয়াড় সার্জি স্তারকোভস্কি। সেই সময় তাঁর দেশে আক্রমণ শুরু করে রাশিয়া। সঙ্গে সঙ্গে কঠিন সিদ্ধান্ত নেন স্তারকোভস্কি।
স্ত্রী এবং তিন সন্তানকে হাঙ্গেরিতে রেখে ইউক্রেনে যান স্তারকোভস্কি। রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে যোগ দেন তিনি। দেশের রাজধানী কিভ, রক্ষা করার দায়িত্বে রয়েছেন স্তারকোভস্কি। রাশিয়ার সৈন্য কিভে ঢুকলে দেশকে বাঁচাতে যা করা প্রয়োজন, সব কিছু করতে তৈরি বলে জানিয়েছেন তিনি। এক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে স্তারকোভস্কি জানিয়েছেন ইউক্রেনের নাগরিক এবং শিশুদের বাঁচানোর চেষ্টা করবেন তিনি।
স্তারকোভস্কি বলেন, “আমি এখানে জন্মেছি। আমার দাদু-দিদাকে এখানে কবর দেওয়া হয়েছে। আমি এমন ইতিহাস তৈরি করতে চাই যা আমার সন্তানদের বলতে পারব। রাশিয়ার দেওয়া স্বাধীনতা কেউ চায় না। সবার স্বাধীনতা রয়েছে। রাশিয়া এই দেশকে গরিব করতে চায়।”
১৮ বছর টেনিস খেলার পর অবসর নেন স্তারকোভস্কি। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের এক সপ্তাহ আগে অবসর নেন তিনি। কিন্তু পরিবারকে ছেড়ে চলে আসায় অপরাধবোধ কাজ করছে স্তারকোভস্কির মধ্যে। তিনি বলেন, “এই সিদ্ধান্ত নেওয়া আমার পক্ষে সহজ ছিল না। আমার স্ত্রী রয়েছে, তিন সন্তান রয়েছে। বাড়িতে থাকলে অপরাধবোধ কাজ করত দেশে না ফেরার জন্য, এখন অপরাধবোধ কাজ করছে বাড়ি ছেড়ে আসার জন্য।”
স্তারকোভস্কি জানিয়েছেন তাঁর স্ত্রী এই সিদ্ধান্ত সহজে মেনে নিতে পারেননি। স্তারকোভস্কি বলেন, “আমার স্ত্রী পাগল হয়ে গিয়েছিল। আমি কেন আসছি সেটা সে বুঝতে পেরেছে। কিন্তু তার কাছে এটা বিশ্বাসঘাতকতা। আমি বুঝতে পারছি কেন ও এমন ভাবছে। আমার সন্তানদের কিছু জানাইনি। তবে ওরা হয়ত বুঝে যাবে।”
ইউক্রেনে এসে বন্দুক চালানো শেখেন স্তারকোভস্কি। কিন্তু কারও প্রাণ নিতে আগ্রহী নন তিনি। স্তারকোভস্কি বলেন, “আমাকে যদি ওরা মারতে চায়, যদি আমার কাছের কোনও মানুষের ক্ষতি করে, তা হলে গুলি চালাতেই হবে। কিন্তু আমি সেটা চাই না। আমি গুলি চালাতে চাই না। আমি কাউকে মারতে চাই না। কিন্তু আমাকে মারতে চাইলে আমার কিছু করার নেই। আমি আমার স্ত্রীকে দেখতে চাই, আমার সন্তানদের দেখতে চাই। এটাই আমার লক্ষ্য।”