Tokyo Paralympics 2020

Tokyo Paralympics: ব্রোঞ্জ হাতছাড়া হওয়া বিনোদের পাশে প্রাক্তন প্যারাসুইমিং কোচ, দোষ দেখছেন প্রশাসকদের

অনেকে বিনোদের দোষ দেখলেও মানতে রাজি নন ভারতের প্রাক্তন প্যারাসুইমিং কোচ প্রশান্ত কর্মকার।

Advertisement

জাগৃক দে

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ অগস্ট ২০২১ ২১:৪৪
Share:

বিনোদ কুমার টুইটার

টোকিয়ো প্যারালিম্পিক্সে ডিসকাস থ্রোয়ে ব্রোঞ্জ পদক জিতলেও যোগ্যতা ভাঁড়ানোর অভিযোগে পদক খোয়াতে হয়েছে বিনোদ কুমারকে। সোমবার জানিয়ে দেওয়া হয় পদক পাচ্ছেন না ভারতীয় এই প্যারাঅ্যাথলিট। এফ ৫২ বিভাগে অংশ নেওয়ার যোগ্যতাই নেই তাঁর। এক্ষেত্রে অনেকে বিনোদের দোষ দেখলেও মানতে রাজি নন ভারতের প্রাক্তন প্যারাসুইমিং কোচ প্রশান্ত কর্মকার। তিনি দোষ দেখছেন প্রশাসকদের।

Advertisement

অর্জুন পুরষ্কার প্রাপ্ত সাঁতারু বলেন, ‘‘এ ভাবে গোটা বিষয়টাকে দেখা একেবারেই ঠিক নয়। একজন প্যারাঅ্যাথলিটের পক্ষে কোন খেলায় এবং বিভাগে নামা উচিত এটা অনেক সময় বোঝা সম্ভব নয়। এটা ক্রীড়া প্রশাসকদের দায়িত্ব। ভারতে ক্রীড়া প্রশাসকের অভাব নেই। কিন্তু শারীরিক প্রতিবন্ধকতা ও নির্দিষ্ট খেলা এবং ইভেন্ট সংক্রান্ত প্রতিবন্ধকতা সম্বন্ধে সঠিক তথ্য দেওয়ার সেরকম লোক নেই। ফলে অনেক ক্ষেত্রেই খেলোয়াড়দের সমস্যা থেকে যায়, বুঝতে বা বোঝাতে ভুল হয়।’’

কোনও খেলোয়াড় যদি নিজের ক্ষমতা লুকিয়ে খেলার চেষ্টা করেন, তবে কী ভাবে তাঁকে ধরা হয় সেই প্রশ্নের উত্তরও দিয়েছেন প্রশান্ত। তিনি বলেন, ‘‘খেলোয়াড়রা অনেক সময়ই পদক জেতার জন্য ভুল তথ্য দিয়ে থাকেন। এটা সঠিক। কিন্তু তা ধরার জন্য অনেক উপায় রয়েছে। গল্পের মতো করে খেলোয়াড়দের সঙ্গে কথা বলেন ডাক্তাররা। জানতে চান তাঁরা কী ভাবে প্যারালিম্পিক্সের মঞ্চে এসেছেন, তাঁদের দুর্ঘটনার কথা, রোজকার জীবনের কথা সবটাই প্রমাণ হিসেবে সংরক্ষণ করা হয়। তারপর বায়োমেকানিকাল পরীক্ষা হয়। খেলার সময় হয় আসল পরীক্ষা। সেই সময় তীক্ষ্ণ নজর রাখেন বিচারকরা। তাঁর দেওয়া তথ্য ও তাঁর শারীরিক ক্ষমতার মধ্যে কোনও পার্থক্য রয়েছে কিনা তা দেখে নেন বিচারকরা। তাঁদের সন্দেহ হলে ফের পরীক্ষা করে সেই প্রতিযোগীকে বাদ দিতে পারেন বিচারকরা।’’

Advertisement

একজন প্রতিযোগী এ ভাবে বাদ গেলে শুধু মেডেল নয় দেশের মান-সম্মানও নষ্ট হয়। এমনটাই মনে করেন রিয়ো প্যারালিম্পিক্সে ভারতের সাঁতারু দলের কোচ। প্রশান্ত বলেন, ‘‘বিশ্বের মঞ্চে বিনোদের ঘটনা আসলে ভারতকে ছোট করে দিল। আমাদের লজ্জা দিল। দায় প্রশাসকদের। এটাও বলব, ওর যদি দোষ না থাকে তবে সুযোগ পাওয়া উচিত।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement