মণীশ নারওয়াল সোনা এনে দিলেন ভারতকে। ছবি: পিটিআই
পাঁচ বছর আগে শ্যুটিং শুরু করা মণীশ নারওয়াল সোনা এনে দিলেন ভারতকে। টোকিয়ো প্যারালিম্পিক্সে তাঁর সাফল্য বুঝিয়ে দিল শারীরিক প্রতিবন্ধকতা কোনও বাধা হয়ে উঠতে পারে না মানসিক জোর থাকলে।
মণীশের ইচ্ছা ছিল ফুটবলার হওয়ার। লিয়োনেল মেসির ভক্ত ভারতীয় শ্যুটার বলেন, “সব সময় ফুটবলার হতে চেয়েছি। খোলা আকাশের নীচে মাঠে নেমে খেলতেই আমার আগ্রহ ছিল বেশি। কিন্তু পাড়ার ক্লাবে খেলার বেশি এগোতে পারিনি। বাবার এক বন্ধু বলেছিল আমাকে শ্যুটিংয়ে ভর্তি করে দিতে। বল্লভগড়ে ১০এক্স শ্যুটিং অ্যাকাডেমিতে কোচ রাকেশ ঠাকুরের কাছে আমাকে ভর্তি করে দেওয়া হয়। উনি না থাকলে এত দূর পৌঁছতে পারতাম না। সাফল্য পেতে চাই ওঁর জন্য।”
দেশ যখন মনু ভাকের, সৌরভ চৌধরিদের এক ডাকে চেনে, তখন মণীশ, সিংহরাজ অনেক পিছনের সারিতে। দেশের জার্সি পরে পদক যদিও তাঁরাই এনে দিলেন।
পদকজয়ী মণীশ অনুপ্রেরণা পান উসেইন বোল্টের থেকে। অলিম্পিক্সে একাধিক সোনার পদকজয়ী বোল্টের মতো দেশকে তিনিও পদক এনে দিয়েছেন। ১৯ বছরের মণীশ আগামী দিনে আরও পদক জয়ের স্বপ্ন দেখতেই পারেন।
জন্ম থেকেই ডান হাত তুলতে পারেন না মণীশ। সেই নিয়ে ভাবতে রাজি নন তিনি। মণীশ বলেন, “কখনও কখনও হার ভুলে বড় কিছু পাওয়ার লক্ষ্যে লড়াই করা উচিত।” নিজের জীবনের ক্ষেত্রে, খেলার ক্ষেত্রে এই বলেই নিজেকে অনুপ্রেরণা দেন মণীশ।
গত বছর অর্জুন পুরস্কার পেয়েছেন তরুণ শ্যুটার। দেশ তাঁকে সম্মান দিয়েছে, টোকিয়ো থেকে সোনা এনে দেশকেও তা ফিরিয়ে দিলেন মণীশ।
তাঁর সাফল্যে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি টুইট করে লেখেন, ‘টোকিয়ো প্যারালিম্পিক্সে জয় যাত্রা চলছেই। তরুণ মনীশ নারওয়াল দারুণ সাফল্য পেলেন। ভারতীয় ক্রীড়া জগতে ওঁর পদক জয় অনন্য কীর্তি। ভবিষ্যতের জন্য শুভেচ্ছা।’
দেশে ফিরে পিৎজা, চকলেট, আইসক্রিমে মন দিতে চান মনীশ। সিনেমাপ্রেমী এই শ্যুটারের পছন্দের নায়ক রনদীপ হুডা। নায়িকাদের মধ্যে পছন্দ দিশা পাটানিকে। ছুটি পেলে ঘুরে আসতে চান সিমলা।