বিদায় ওসাকা। —ফাইল চিত্র
তৃতীয় রাউন্ডেই হেরে গেলেন নেয়োমি ওসাকা। টোকিয়ো অলিম্পিক্সের পর ইউএস ওপেনেও সাফল্য অধরা। মানসিক যুদ্ধ যে তাঁর এখনও চলছে, তা পরিষ্কার হয়ে যায় হারার পর ফের টেনিস থেকে সরে দাঁড়ানোয়।
ফরাসি ওপেনের মাঝপথে সরে গিয়েছিলেন। উইম্বলডনেও খেলেননি তিনি। শনিবার ৭-৫, ৬-৭, ৪-৬ গেমে হেরে ইউএস ওপেন থেকেও বিদায় নিলেন তিনি। বিশ্ব টেনিসে সাড়া জাগানো জাপানের টেনিস তারকা ফের এক বার তুলে রাখলেন টেনিস র্যাকেট।
সাংবাদিক বৈঠকে এসে এক বার নিজের এজেন্টের দিকে তাকালেন গত বারের ইউএস ওপেন বিজয়িনী। তাঁর কাছে জানতে চাইলেন আর্থার অ্যাশ স্টেডিয়ামের হলওয়েতে তাঁদের মধ্যে যা আলোচনা হয়েছে, সেটা এখানে বলবেন কি না। সম্মতি দিলেন এজেন্ট। কাঁপা কাঁপা গলায় চোখে জল নিয়ে ওসাকা বলতে শুরু করলেন, “আমার মধ্যে কোনও আবেগ কাজ করছে না। জিতলে আনন্দ পাচ্ছি না। মনে হয় যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম। হেরে গেলে ভেঙে পড়ি। আমার মনে হয় না এটা স্বাভাবিক।”
ওসাকা ভেঙে পড়েছেন দেখে সাংবাদিক বৈঠক বন্ধ করতে উদ্দত হলেন কর্তৃপক্ষ। বাধা দিলেন ওসাকা। গালে হাত দিয়ে তিনি ফের বলতে শুরু করলেন, “খুব স্পষ্ট করে বোঝানো কঠিন। সত্যি বলতে বুঝতে পারছি না আমার জীবনে কী করা উচিত। বোঝার চেষ্টা করছি যে আমি কী করতে চাই। আমি জানি না আবার কবে টেনিস খেলব।”
আর ধরে রাখতে পারলেন না চোখের জল। দুই গাল বেয়ে নেমে আসা অশ্রুধারা মুছলেন হাত দিয়ে। ওসাকা বললেন, “আপাতত কিছু দিনের জন্য বিরতি নিলাম।”
চার বারের গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ী ওসাকা বিদায় নিলেন। দু’বার ইউএস ওপেন জিতেছেন তিনি। সেই প্রতিযোগিতার তৃতীয় রাউন্ডে হেরে গেলেন কোনও এক লেলাহ ফার্নান্ডেজের কাছে। ১৮ বছরের এই ক্যানাডিয়ান কোনও গ্র্যান্ড স্ল্যামে এত দূর অবধি এর আগে আসতেই পারেননি।
শুধু ওসাকা নন, ইউএস ওপেন থেকে বিদায় নিলেন স্টেফানোস চিচিপাসও। বিশ্বের তিন নম্বর তারকা হেরে গেলেন ১৮ বছরের কার্লোস আলকারাজের কাছে। ফরাসি ওপেনের ফাইনাল খেলা চিচিপাস হেরে গেলেন ৩-৬, ৬-৪, ৬-৭, ৬-০, ৬-৭ গেমে। জয়ের পর আলকারাজ বলেন, “আমি জানি না কী হল কোর্টে। চিচিপাসকে হারিয়ে দিয়েছি। আমার স্বপ্ন সত্যি হয়েছে।”