দ্রোণাচার্যের মন্ত্র
PV Sindhu

Tokyo olympics 2020: হার ভুলে ব্রোঞ্জ জয়ই হোক আজ পাখির চোখ

প্রথম গেমে সিন্ধু শুরুটা খারাপ করেনি। আক্রমণাত্মক মেজাজে চাপে রেখেছিল তাই জ়ু-কে।

Advertisement

বিমল কুমার

শেষ আপডেট: ০১ অগস্ট ২০২১ ০৬:৪৬
Share:

হতাশ: প্রথম গেমে এগিেয় গিয়েও পরাজয় সিন্ধুর (বাঁ দিকে)। উচ্ছ্বাস: প্রথম অলিম্পিক্স পদক নিশ্চিত তাই জ়ু-র (ডান দিকে) পিটিআই।

আগের লেখাতেই বলেছিলাম, সেমিফাইনালে সিন্ধুর জন্য সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল আত্মবিশ্বাস ধরে রাখা। যেটা কোয়ার্টার ফাইনালে আকানে ইয়ামাগুচির বিরুদ্ধে ওর মধ্যে দেখেছিলাম। শনিবার সিন্ধুর শরীরী ভাষা দেখে মনে হচ্ছিল যেন একটু চাপে রয়েছে।

Advertisement

তার প্রভাব খেলায় স্পষ্ট ফুটে উঠল এবং তাই জ়ু ইংয়ের বিরুদ্ধে ১৮-২১, ১২-২১ হেরে গেল সিন্ধু। এমন নয় যে ও খুব খারাপ ভাবে হেরেছে। বরং চিনা তাইপের প্রতিপক্ষ এ দিন অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছিল।

প্রথম গেমে সিন্ধু শুরুটা খারাপ করেনি। আক্রমণাত্মক মেজাজে চাপে রেখেছিল তাই জ়ু-কে। হয়তো আগের ম্যাচে তিন গেমের লড়াইয়ের জন্য এ দিন তাই জ়ু কিছুটা ধীর গতিতে খেলা শুরু করেছিল। সিন্ধু সেই সুযোগে প্রথম গেমের মাঝামাঝি ১১-৮ পয়েন্টে এগিয়েও যায়। কিন্তু তাই জ়ু এর পরেই ছন্দ ফিরে পেয়ে ঘুরে দাঁড়ায়। সিন্ধু যখন হাওয়ার বিরুদ্ধে খেলছিল, আরও কিছুটা আক্রমণাত্মক খেলতে পারলে প্রথম গেম জিততে পারত। ছন্দ ফেরা তাই জ়ুকে আটকানো যে কোনও খেলোয়াড়ের পক্ষেই কঠিন। ওর শটের যে রকম বৈচিত্র আছে, তেমনই নেট প্লে এত শক্তিশালী যে, সিন্ধু এক সময় ১৭-১৭ হওয়ার পরেও ওকে রুখতে পারেনি।

Advertisement

দ্বিতীয় গেমেও সিন্ধু নেটের সামনে খুব কমই এল। তাই জ়ু-কে আটকানোর সব চেয়ে ভাল উপায় হল নেটে আক্রমণ করা। কিন্তু সিন্ধু ড্রিবল করে ওকে কোর্টের পিছনের দিকে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করছিল। তাতে লাভ হয়নি। বরং ওই গেমের নিয়ন্ত্রণ চিনা তাইপের খেলোয়াড়ের হাতে চলে যায়। ফলে তাই জ়ু পয়েন্টের ব্যবধান বাড়িয়ে ফাইনালে চলে গেল।

রবিবার ব্রোঞ্জ পদকের ম্যাচের আগে সিন্ধুর উচিত ফোন বন্ধ করে দেওয়া। সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা না বলা। মাথা ঠান্ডা রেখে কোচ এবং ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে কথা বলে শনিবারের হারের কথা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলতে হবে। ওটা নিয়ে যত ভাববে, হতাশা বাড়বে।

এ ভাবে আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে ও সহজেই জিততে পারে। কথাটা বলছি কারণ, ব্রোঞ্জ পদক জয়ের লড়াই যার বিরুদ্ধে, চিনের হি বিংজিয়াও কিন্তু তাই জ়ু নয়। টেকনিকের দিক থেকে সিন্ধু অনেক এগিয়ে। কে কি বলছে বা ভাবছে, তা ভুলে ওকে ব্রোঞ্জের জন্য ঝাঁপাতে হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement