একাধিক ইভেন্টের ফাইনাল থেকে নাম তুলে নিয়েছিলেন সিমোনে বাইলস। —ফাইল চিত্র
টোকিয়ো অলিম্পিক্সের একাধিক ইভেন্টের ফাইনাল থেকে নাম তুলে নিয়েছিলেন সিমোনে বাইলস। প্রবল মানসিক চাপে ভুগছিলেন। কিন্তু এই মানসিক সমস্যা শুরু হয়েছিল অলিম্পিক্সের আগেই। এমনটাই জানিয়েছেন আমেরিকার এই জিমন্যাস্ট নিজেই। তবে এই ঘটনা থেকে ইতিবাচক দিকও খুঁজে পাচ্ছেন বাইলস। তাঁর মতে, এ বার তাঁকে দেখে আরও অনেকে দরকার পড়লে ‘না’ বলার সাহস পাবেন।
গত মাসে আলোচনার কেন্দ্রে ছিলেন ২৪ বছরের বাইলস। রিয়ো অলিম্পিক্সে একাধিক পদকজয়ী জিমন্যাস্টের মানসিক সমস্যা দেখা দেয়। যে কারণে বিভিন্ন ইভেন্টের ফাইনাল থেকে নিজেকে সরিয়ে নিতে বাধ্য হন তিনি। কিন্তু সেই সমস্যা দেখা গিয়েছিল প্রতিযোগিতার আগে থেকেই। বাইলস বলেন, “আমি বলব না যে টোকিয়োতে গিয়ে আমার এই সমস্যা দেখা গিয়েছিল। অনেক গভীর এই সমস্যা। মানসিক চাপই প্রধান কারণ। সময়ের সঙ্গে যা বড় আকার নিয়েছে। আমার শরীর, মন কোনও কিছুই রাজি ছিল না ফাইনালে অংশ নেওয়ার জন্য। কিন্তু এটা যে আমার মধ্যে তৈরি হচ্ছিল, সেটা বুঝতে পারিনি।”
এক মাত্র ব্যাল্যান্স বিম ইভেন্টের ফাইনালে খেলতে নামেন বাইলস। ব্রোঞ্জ জেতেন সেখানে। বাইলস বলেন, “পাঁচ বছর ধরে নিজেকে তৈরি করার পর খেলতে পারিনি। এর থেকে বড় দুঃখ আর কিছুতে নেই। কিন্তু বুঝতে পেরেছিলাম যে, খেলতে পারব না। তাই ‘না’ বলেছিলাম। আমাকে দেখে অনেকে ‘না’ বলার সাহস পাবে।”
বাইলস ভেবেছিলেন ‘খেলবেন না’ বলার সঙ্গে সঙ্গে আক্রমণ ধেয়ে আসবে তাঁর দিকে। কিন্তু সেটা না হওয়ায় অবাক হয়ে যান তিনি। বলেন, “ভেবেছিলাম অনেকে কটূক্তি করবে। কিন্তু তা হয়নি। সম্পূর্ণ বিপরীত প্রতিক্রিয়া পেয়েছিলাম। সেই সময় নিজেকে মানুষ বলে মনে হল। সিমোনে বাইলস নই, আমি সিমোনে, মানুষ সেটাকে শ্রদ্ধা জানাল।”