তিরন্দাজিতে ভারতীয় দলের বিদায়। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
টোকিয়ো অলিম্পিক্সে যাওয়ার আগেই মেয়েদের সিঙ্গলসে এক নম্বর ছিলেন তিরন্দাজ দীপিকা কুমারী। তাঁর স্বামী অতনু দাসও ছন্দে ছিলেন। প্রবীণ যাদব, তরুণদীপ রাইদের নিয়েও ভারতবাসীর আশা ছিল বেশ উঁচুতে। কিন্তু পদক তো দূর কোয়ার্টার ফাইনালের বাধাই টপকাতে পারলেন না কেউ।
দীপিকারা আগেই ছিটকে গিয়েছিলেন। তিরন্দাজিতে ভারতের শেষ আশা ছিলেন বাংলার অতনু। কিন্তু শনিবার জাপানের তাকাহারু ফুরুকাওয়ার বিরুদ্ধে ৪-৬ ব্যবধানে হেরে বিদায় নিলেন তিনিও। দ্বিতীয় ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়ার ওহ জিন-হেইককে হারিয়ে আশা বাড়িয়ে দিয়েছিলেন দেশবাসীর। কিন্তু শনিবার লক্ষ্যভ্রষ্ট হলেন তিনিও। সেই সঙ্গে তিরন্দাজি থেকে বিদায় নিল ভারতও।
ব্যক্তিগত ইভেন্টে দীপিকার শুরুটা হয়েছিল দুর্দান্ত। ৬-০ ব্যবধানে উড়িয়ে দিয়েছিলেন ভুটানের কর্মাকে। পরের রাউন্ডে আমেরিকার জেনিফার মুচিনোকে হারিয়ে দেন ৬-৪ ব্যবধানে। প্রি কোয়ার্টার ফাইনালে রাশিয়ার পেরোভাকেও হারিয়ে দিয়েছিলেন দীপিকা। কিন্তু সেখানেই ইতি। কোয়ার্টার ফাইনালে কোরিয়ার আন সানের বিরুদ্ধে হেরে গেলেন ০-৬ ব্যবধানে। শনিবার অতনুর জন্য গ্যালারি থেকে গলা ফাটালেন, কিন্তু তাতেও জেতাতে পারলেন না স্বামীকে।
দীপিকার সঙ্গে জুটি বেঁধে মিক্সড ইভেন্টে লড়াইয়ে নেমেছিলেন প্রবীণ যাদব। তাঁদের লড়াইও থেমে যায় কোয়ার্টার ফাইনালে। বিপক্ষে সেই কোরিয়া। ফল ২-৬। ছেলেদের ডবলসেও ভারতীয় দলের বাধা হয়ে উঠেছিল কোরিয়া। কোয়ার্টার ফাইনালে ০-৬ ব্যবধানে হারতে হয় ভারতকে।
নিজেদের ব্যক্তিগত ইভেন্টে তরুণদীপ এবং প্রবীণ হেরে যান দ্বিতীয় রাউন্ডেই। কেন এমন ফল ভারতীয় তিরন্দাজ দলের? শনিবার ম্যাচ হেরে অতনু বলেন, “মনে হয় খুব বেশি চাপে ছিলাম। চেষ্টা করেছি, কিন্তু পারিনি। প্রতিটা ম্যাচ আলাদা। পরের বার ফের চেষ্টা করব।”
চাপ, প্রত্যাশার চাপ। এই চাপেই কি তবে শেষ হয়ে গেল ভারতের তিরন্দাজ দল? অলিম্পিক্সে যাওয়ার আগে তাঁদের নিয়েই তো আলোচনা ছিল সমর্থকদের। সেই চাপই কাল হল ভারতের? অতনু বলেন, “এই পর্যায় লড়তে হলে আরও বেশি পরিকল্পনা দরকার। অনেক কিছু শিখেছি। নিজেদের নার্ভ ঠিক রাখতে হবে।”