উচ্ছ্বাস: চিলিচকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার পরে নাদাল। (ডান দিকে) রাফা পয়েন্ট পেতেই উল্লাস দর্শকাসনে থাকা উডসের। এএফপি ও টুইটার
টাইগার উডস সম্পর্কে এক সময় রাফায়েল নাদাল বলেছিলেন, ‘‘ও অবিশ্বাস্য অনুপ্রেরণা’’। সেই টাইগারেরই গর্জন শোনা গেল মঙ্গলবার ফ্লাশিং মেডোজে, এবং রাফার সমর্থনে! ১৮ বারের গ্র্যান্ড স্ল্যামজয়ী, যুক্তরাষ্ট্র ওপেনে ক্রোয়েশিয়ার কঠিন কাঁটা মারিন চিলিচকে একটা সেট হারিয়েও কার্যত উড়িয়ে দিলেন ৬-৩, ৩-৬, ৬-১, ৬-২ সেটে। আর গল্ফে ১৫টি মেজরের মালিক টাইগার সেই দাপট দেখলেন আর্থার অ্যাশ স্টেডিয়ামের গ্যালারি থেকে। রাফার আগুনে ক্রস-কোর্ট ব্যাকহ্যান্ড পাসিং শটে চিলিচ ধরাশায়ী হতেই দেখা গেল মুষ্টিবদ্ধ টাইগার উল্লসিত। সঙ্গে নেট ঘেঁষা ফোরহ্যান্ড রিটার্নে নাদাল ম্যাচ পয়েন্ট জিততেই কিংবদন্তি গল্ফার আত্মহারা হলেন।
গ্যালারিতে প্রিয়তম খেলোয়াড়! আপ্লুত নাদাল ম্যাচের পরে কী বলবেন ভেবে পাচ্ছিলেন না। শেষ পর্যন্ত বলতে শোনা গেল, ‘‘ও (টাইগার উডস) সমর্থন করছে মানে আমার কাছে বিরাট ব্যাপার। আগেও বলেছি, টাইগার অবিশ্বাস্য প্রেরণা। খেলাধুলোয় ও যা যা করেছে তার সবই কঠিনতম মাইলফলক। এবং এখনও লড়াই থামায়নি।’’ এখানেই না থেমে নাদাল বলে যান, ‘‘গল্ফ কোর্সে ওকে দেখে বারবার মুগ্ধ হয়েছি। উদ্বুদ্ধ করেছে প্রতিটি মুহূর্তে। ওর সমর্থন পেলে বা কাছাকাছি পৌঁছলে কতটা খুশি হই বলে বোঝাতে পারব না।’’ মজা করে যোগ করলেন, ‘‘আশা করি একদিন আমরা একসঙ্গে টেনিস আর গল্ফ খেলতে পারব।’’ তিন বার নাদাল ফ্লাশিং মেডোজে চ্যাম্পিয়ন। চতুর্থ ট্রফির লক্ষ্যে এ বার দুরন্ত গতিতে ছুটছেন। এবং স্পেনীয় মহাতারকার টেনিস শক্তিশালী হচ্ছে নিউ ইয়র্কে হাজির ভক্তদের সমর্থন নামক উন্মাদনায়। কে ভেবেছিল, এ হেন উদ্দামতায় সাধারণ ভক্তের মতোই গা ভাসাবেন কিংবদন্তি টাইগার উডসও। রাফার প্রতিক্রিয়াও যেন বেলাগাম, ‘‘এখানে খেললে অদ্ভুত এক আবেগে আচ্ছন্ন হই। কে না জানে, এই খেলাটা পাগলের মতো ভালবাসি। নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি, এখনও নিউ ইয়র্কে আসছি আর টেনিস খেলছি বলে। আট-দশ বছর আগে শরীরের এতটাই খারাপ অবস্থা ছিল, ভাবিইনি এত দিন এখানে খেলব।’’ গ্যালারিকে লক্ষ্য করে নাদালের মন্তব্য, ‘‘আপনাদের সবার সামনে খেলছি। এমনকি টাইগারের সামনেও। এটা কত বড় সম্মানের বোধহয় নিজেও জানি না।’’