টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট এখন বিশ্ব জুড়ে তুমুল জনপ্রিয়। ক্রিকেটপ্রেমীদের খুবই পছন্দের এই ফরম্যাট। কিন্তু, তা হালফিলই। কুড়ি ওভারের ফরম্যাট বেশি দিন আগে আসেনি। ফলে, কয়েক বছর আগে অবসর নেওয়া ক্রিকেটাররাও পাননি এর স্বাদ। অথচ, তাঁদের অনেকেই হয়তো সাড়া ফেলতে পারতেন এই ফরম্যাটে। সেই সমস্ত ক্রিকেটারদের মধ্যেই বেছে নেওয়া হল দল, যাঁরা কখনও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট খেলেনইনি। চ্যাম্পিয়নদের নিয়ে তৈরি এই দল হারিয়ে দিতে পারে আজকের যে কোনও দলকেই।
ওপেনিংয়ে থাকবেন ভিভিয়ান রিচার্ডস। এক দিনের ক্রিকেটে তাঁর স্ট্রাইক রেট ৯০.২০। খেলতেন রাজার মতো দাপটে। শাসন করতেন বোলারদের। ১৮৭ একদিনের ম্যাচে ৪৭ গড়ে করেছেন ৬৭২১ রান। সর্বাধিক অপরাজিত ১৮৯। রয়েছে ১১ সেঞ্চুরি, ৪৫ হাফ-সেঞ্চুরি।
ওপেনিংয়ে রিচার্ডসের সঙ্গী মার্ক ওয়। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে একদিনের ক্রিকেটে ওপেনিংয়ে তিনি ছিলেন নির্ভরতার প্রতিমূর্তি। ২৪৪ ওয়ানডে ম্যাচে ৩৯.৩৫ গড়ে করেছেন ৮৫০০ রান। স্ট্রাইক রেট ৭৬.৯০। সেঞ্চুরির সংখ্যা ১৮, হাফ-সেঞ্চুরির সংখ্যা ৫০।
তিনে অবধারিত ভাবেই ডন ব্র্যাডম্যান। টেস্ট কেরিয়ারে তাঁর গড় ছিল চোখ কপালে তোলার মতো, ৯৯.৯৪! সেই সময়ই যে ভাবে ব্যাট করতেন, ধরা পড়ত এখনকার টি-টোয়েন্টি মেজাজই। একদিনে ট্রিপল সেঞ্চুরিও করেছিলেন তিনি। নিশ্চিত ভাবেই টি-টোয়েন্টি খেললে বোলারদের রাতের ঘুম কেড়ে নিতেন।
চারে থাকবেন গ্যারফিল্ড সোবার্স। ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই কিংবদন্তি শুধু ব্যাটসম্যানই নন, তাঁকে ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা অলরাউন্ডার বলেও মনে করেন অনেকে। টি-টোয়েন্টি খেলার প্রশ্নই ছিল না, একদিনের ম্যাচই খেলেছেন মোটে একটা। কিন্তু, ব্যাটে-বলে সোবার্স অতুলনীয় একজন ক্রিকেটার।
জাভেদ মিয়াঁদাদ নামবেন পাঁচে। মিডল অর্ডারে তাঁর অগাধ অভিজ্ঞতা। ২৩৩ এক দিনের ম্যাচে করেছেন ৭৩৮১ রান। গড় ৪১.৭০। আট সেঞ্চুরি ও ৫০ হাফ-সেঞ্চুরি করেছেন এই ফরম্যাটে। চাপের মুখে জ্বলে ওঠা তাঁর স্বভাব।
ছয়ে ১৯৮৩’র বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক কপিল দেব। ২২৫ একদিনের ম্যাচে ৩৭৮৩ রান করেছেন তিনি। স্ট্রাইক রেট অবিশ্বাস্য ৯৫.০৭। বিশ্বকাপে অপরাজিত ১৭৫ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। রয়েছে ১৪ হাফ-সেঞ্চুরিও। এর সঙ্গে নিয়েছেন ২৫৩ উইকেট। ইকনমি রেট ৩.৭১।
সাতে এই দলের অধিনায়ক ইমরান খান। ১৭৫ একদিনের ম্যাচে ৩৩.৪১ গড়ে ৩৭০৯ রান করেছিলেন তিনি। স্ট্রাইক রেট ৭২.৬৫। এক সেঞ্চুরি ও ১৯ হাফ-সেঞ্চুরি এসেছে তাঁর ব্যাটে। বল হাতে নিয়েছেন ১৮২ উইকেট। সেরা ১৪ রানে ছয় উইকেট। ইকনমি রেট ৩.৮৯।
এর পর উইকেটকিপার। অস্ট্রেলিয়ার রড মার্শ থাকছেন দায়িত্বে। ৯২ একদিনের ম্যাচে ১২০ ক্যাচ নিয়েছেন তিনি। স্টাম্পিংয়ের সংখ্যা চার। ব্যাট হাতে করেছেন ১২২৫ রান। হাফ-সেঞ্চুরির সংখ্যা চার।
দলে থাকবেন আরও এক অলরাউন্ডার, নিউজিল্যান্ডের রিচার্ড হ্যাডলি। ১১৫ একদিনের ম্যাচে ১৫৮ উইকেট নিয়েছেন তিনি। ইকনমি রেট ৩.৩০। ম্যাচে পাঁচ উইকেট নিয়েছেন পাঁচ বার। আর ব্যাটে করেছেন ১৭৫১ রান। স্ট্রাইক রেট ৭৫.৫০।
দলের একমাত্র বিশেষজ্ঞ স্পিনার হলেন আবদুল কাদির। পাকিস্তানের এই লেগস্পিনার ১০৪ একদিনের ম্যাচে নিয়েছেন ১৩২ উইকেট। পাঁচ উইকেট নিয়েছেন দু’বার। লেগস্পিনের কারিকুরিতে কাদির নিজের সময়ে প্রায়ই বোকা বানাতেন ব্যাটসম্যানদের।
অনেকের মতে, ম্যালকম মার্শাল হলেন আশির দশকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেরা পেসার। ১৩৬ একদিনের ম্যাচে তিনি নিয়েছেন ১৫৭ উইকেট। ইকনমি রেট ৩.৫৩। ১৮ রানে চার উইকেট এই ফরম্যাটে মার্শালের সেরা বোলিং।