দুর্দান্ত শুরু করেও সেমিফাইনালে হোঁচট খেয়ে বিশ্বকাপ শেষ করেছে টিম ইন্ডিয়া। বিশ্বকাপে বেশ কয়েক জনের পারফরম্যান্স নিয়ে সমালোচনা হয়েছিল। ক্যারিবিয়ান সফরে বাদ পড়লেন তাঁদের অনেকেই। দেখে নেওয়া যাক কেমন হল ওয়ান ডে দল।
বিরাট কোহালি- অধিনায়ক কোহালি খেলবেন জানানোর পর তাঁর নির্বাচন নিয়ে আর কোনও দ্বিমত ছিল না। এই দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেবেন তিনিই।
রোহিত শর্মা-বিশ্বকাপের ফর্ম ধরে রাখলে বলাই যায় ক্যারিবিয়ানদের কপালে দুঃখ আছে। বিশ্বকাপের দুরন্ত ফর্ম তাঁকে বাদ দেওয়ার কথা ভাবতেই দেয়নি নির্বাচকদের।
শিখর ধওয়ন- দুটো ম্যাচ খেলেই বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যেতে হয়েছিল। তিনি সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তবে নতুন ওপেনার তৈরি রাখার জন্য ঘুরছিল পৃথ্বী শ-এর নাম। যদিও কোমরের চোটে ভুগছেন তিনিও। তাই নির্বাচকরা বেছে নিলেন গব্বরকেই।
লোকেশ রাহুল– ওপেনার এবং মিডল অর্ডারে বিশ্বকাপে খেলেছেন রাহুল। তাঁর প্রতিভা নিয়ে কোনও সংশয়ই নেই। তবে ক্রিজে জমে যাওয়ার পরে উইকেট দিয়ে আসার প্রবণতা রয়েছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে রাহুল কেমন খেলেন, সেটাই দেখার।
শ্রেয়াস আইয়ার- দেখে নেওয়ার ভাবনা থেকেই দলেনেওয়া হল ফর্মে থাকা শ্রেয়াস আইয়ারকে।ঘরোয়া লিগে শ্রেয়াসের ফর্ম কাজে লাগাতে চাইছে ভারত। দেখা যাক মিডল অর্ডারের রোগ সারাতে পারেন কিনা শ্রেয়াস।
মণীশ পাণ্ডে- ফের সুযোগ দেওয়া হল তাঁকে। ভারতের ‘এ’ দলের অধিনায়ক ছিলেন তিনি। ব্যাটে একটা সময় ভরসার জায়গা হয়ে উঠেছিলেন তিনি। ভারতীয় দলের ভঙ্গুর মিডল অর্ডারকে ভরসা দিতে পারেন কিনা সেটাই দেখার।
ঋষভ পন্থ- ওয়ানডে ও টি টোয়েন্টি দলে উইকেটের পিছনে দেখা যাবে এই মারকুটে ব্যাটসম্যানকে। ক্যারিবিয়ান সফরকে পন্থের অগ্নিপরীক্ষা বলা যায়। টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে পন্থকে তৈরি করার কথা ভাবা হচ্ছে।
রবীন্দ্র জাডেজা- বাঁহাতি এই অলরাউন্ডার প্রায় জিতিয়ে দিয়েছিলেন নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সেমিফাইনাল ম্যাচ। তাঁকে দলে রাখা হবে কিনা সেই নিয়ে জল্পনার কোনও কারণ ছিল না। তবে রাহুল চাহারকে দেখে নেওয়া উচিত ছিল মনে করছেন অনেকে।
কুলদীপ যাদব- এই চায়নাম্যান বোলারকে বিশ্বকাপে ফর্মে না পাওয়া গেলেও, তাঁর বাঁহাতের ভেল্কি সমস্যায় ফেলতে পারে ক্যারিবিয়ানদের। সেই জন্য তাঁকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজে।
যুজবেন্দ্র চহাল- ‘কুল-চা’ জুটিকে ভাঙতে চাইছে না ভারতীয় দল। বিশ্বকাপে কুলদীপ ফর্মে না থাকলেও, নিজের কাজ ঠিক ভাবে করে গিয়েছেন যুজবেন্দ্র চহাল। তাই তাঁকে নিয়ে যাওয়া যে হবেই তা আগেই বলা হয়েছিল।
কেদার যাদব- আবার সুযোগ দেওয়া হল কেদারকে। বিশ্বকাপের খারাপ পারফর্মান্সের পরে কি নতুন কাউকে দেখা উচিত ছিল না? প্রশ্ন উঠছে ক্রিকেট মহলে।
মহম্মদ শামি- ভারতের এই ‘স্পিড স্টার’কে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে নিয়ে যাওয়া নিশ্চিত ছিল। কারণ বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে যশপ্রীত বুমরাহকে। তাই এই দলে অভিজ্ঞ শামি বড় ভরসার জায়গা।
ভুবনেশ্বর কুমার- দলের অন্যতম পেসার তিনিই। এই দলের দ্বিতীয় অভিজ্ঞ পেসার ভুবি। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ভুবি-শামি জুটি তাঁদের সেই পুরনো ফর্ম দেখাতে পারেন কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সবার।
খলিল আহমেদ- তরুণ বাঁহাতি পেসারকে এবার তৈরি করার সময় এসেছে ভারতীয় দলের। কারণ এই ভারতীয় দলে পেসার একাধিক থাকলেও বাঁহাতি কেউ নেই। সেই জায়গা নিতে পারেন খলিল আহমেদ। নির্বাচকরা এই সিরিজে হয়ত দেখে নিতে চাইছেন তাঁকে।
নভদীপ সাইনি- তরুণ পেসারের সামনে সুযোগ রয়েছে নিজেকে প্রমাণ করার। ক্যারিবিয়ান সফরে কি উদয় হতে চলেছে নতুন ভারতীয় পেসারের?