ওমানের বিরুদ্ধে মারমুখী মেজাজে মার্কাস স্টোয়নিস। ছবি: এক্স।
প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের কাছে লজ্জার হার হয়েছিল তাদের। সেই ধাক্কা কাটিয়ে দ্বিতীয় ম্যাচে পাপুয়া নিউ গিনির বিরুদ্ধে জিতল উগান্ডা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম জয় পেল তারা। অস্ট্রেলিয়াও জয় দিয়েই বিশ্বকাপ শুরু করল। তারা হারাল ওমানকে। তবে সহজে জিততে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। তার জন্য যথেষ্ট ঘাম ঝরাতে হয়েছে তাদের। মার্কাস স্টোয়নিসের ব্যাটে-বলে দাপট জেতায় অস্ট্রেলিয়াকে।
পাপুয়া নিউ গিনি নিজেদের প্রথম ম্যাচ হেরেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের কাছে। কিন্তু সেই ম্যাচে লড়াই হয়েছিল। যে ব্যাটিং আক্রমণ আন্দ্রে রাসেলদের বিরুদ্ধে ১৩৬ রান করেছিল সেই তারাই উগান্ডার বিরুদ্ধে করল মাত্র ৭৭ রান। দলের মাত্র তিন জন ব্যাটার দু’অঙ্কে পৌঁছন। সর্বাধিক রান করেন হিরি হিরি (১৫)।
ভাল বল করেছেন উগান্ডার বোলারেরা। তাঁদের পাঁচ বোলার সকলেই উইকেট নিয়েছেন। সবচেয়ে নজর কেড়েছেন ফ্রাঙ্ক এনসুবুগা। চার ওভারে মাত্র ৪ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন তিনি। অল্পেশ রমজানি, জুমা মিয়াগি ও কসমাস কিয়েউটাও ২টি করে উইকেট নেন। ১৯.১ ওভারে ৭৭ রানে অল আউট হয়ে যায় পাপুয়া নিউ গিনি।
ম্যাচ জিততে অবশ্য লড়াই করতে হয় উগান্ডাকেও। রান তাড়া করতে নেমে একটা সময়ে ২৬ রানে ৫ উইকেট পড়ে গিয়েছিল তাদের। দলকে একা টানেন রিয়াজাত আলি শাহ। ৩৩ রান করেন তিনি। মিয়াগি করেন ১৬ রান। রান কম থাকায় পাপুয়া নিউ গিনির বোলারেরা লড়াই করেও দলকে জেতাতে পারেননি। ১০ বল বাকি থাকতে ৩ উইকেটে ম্যাচ জেতে উগান্ডা।
চলতি বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ম্যাচ ছিল ওমানের বিরুদ্ধে। লড়াইটা অস্ট্রেলিয়ার কাছে খুব একটা কঠিন হওয়ার কথা ছিল না। কিন্তু লড়াই করল ওমান। প্রথমে ব্যাট করে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৪ রান করে অস্ট্রেলিয়া। ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার করেন ৫৬ রান। তবে তার জন্য ৫১ বল নেন তিনি। ট্রেভিস হেড (১২), অধিনায়ক মিচেল মার্শ (১৪), গ্লেন ম্যাক্সওয়েল (০), টিম ডেভিড (৯) ব্যর্থ। দলকে টানেন স্টোয়নিস। ৩৬ বলে ৬৭ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। হাফ ডজন ছক্কা মারেন দলের অলরাউন্ডার। তিনি রান না করতে পারলে চাপ বাড়ত দলের।
১৬৫ রান তাড়া করতে নেমে ৯ উইকেটে ১২৫ রানে শেষ করে ওমান। আয়ান খান ৩৬ ও মেহরান খান ২৭ রান করেন। ব্যাটারেরা তেমন নজর না কাড়লেও বোলারেরা নিজেদের কাজটা করেন। কেকেআরের হয়ে প্রথম কোয়ালিফায়ার ও ফাইনালের ফর্ম বজায় রাখেন স্টার্ক। প্রথম ওভারেই উইকেট নেন তিনি। দ্বিতীয় স্পেলে ফিরে আরও একটি উইকেট নেন তিনি। ব্যাটের পরে বল হাতেও দাপট দেখান স্টোয়নিস। ডোয়েন ব্র্যাভো ও শেন ওয়াটসনের পরে তিনি তৃতীয় ক্রিকেটার, যিনি একটি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচে অর্ধশতরান ও ৩ উইকেট নিয়েছেন। বাকিদের মধ্যে নেথান এলিস ও অ্যাডাম জ়াম্পা ২টি করে উইকেট নেন। ৩৯ রানে ম্যাচ জেতে অস্ট্রেলিয়া।