রাহুল দ্রাবিড়। — ফাইল চিত্র।
প্রথমে ভারতের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের কোচ। তার পরে জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির (এনসিএ) প্রধান। সেখান থেকে ২০২১ সালে ভারতীয় দলের কোচ হওয়া। ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পর ভারতীয় বোর্ডের সঙ্গে দীর্ঘ প্রায় দশ বছরের সম্পর্ক শেষ হতে চলেছে রাহুল দ্রাবিড়ের। বিদায়বেলায় মজা করতে ছাড়লেন না তিনি। সাংবাদিকদের কাছে জানতে চাইলেন, তাঁদের সন্ধানে কোনও চাকরি রয়েছে কি না।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্তই কোচ হিসাবে বোর্ডের সঙ্গে চুক্তি ছিল দ্রাবিড়ের। জুলাই মাস থেকেই তিনি ‘প্রাক্তন’ হয়ে যাবেন। কোচিংজীবনের কথা মনে করিয়েছিলেন এক সাংবাদিক। দ্রাবিড় উত্তরে বলেন, “পরের সপ্তাহ থেকে আর আমার চাকরি থাকছে না। বেকার হয়ে যাব। আপনাদের সন্ধানে কি কোনও চাকরি রয়েছে?” দ্রাবিড়ের উত্তর শুনে উপস্থিত সকলেই হাসতে থাকেন।
শনিবার ছাত্রদের বিশ্বজয় দেখে উচ্ছ্বাস চেপে রাখতে পারেননি দ্রাবিড়। প্রকাশ্যে ধরা দিয়েছিলেন অচেনা রূপে। পরে তিনি সাংবাদিক বৈঠকে বলেছিলেন, ‘‘দু’বছরের একটা যাত্রা শেষ হল এই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। একটা ভারসাম্য যুক্ত দল তৈরি করতে চেয়েছিলাম। খেলোয়াড়দের মধ্যে নির্দিষ্ট মানের দক্ষতা চেয়েছিলাম। প্রয়োজনীয় কিছু ক্রিকেটারকে চেয়েছিলাম। ২০২১ সালে দায়িত্ব নেওয়ার সময় থেকেই দলে আলোচনা শুরু হয়েছিল, কী ভাবে বিশ্বকাপ জেতা যায়। আমরা কিন্তু এই বিশ্বকাপের জন্য পরিশ্রম করিনি। গত দু’বছরের পরিশ্রমের ফল এই ট্রফি।’’
এটুকু বলার পরই দ্রাবিড়ের মুখে শোনা গিয়েছিল তাঁর আক্ষেপ, যন্ত্রণার কথা। অনেকটা কৃতজ্ঞতা প্রকাশের মতো করে দ্রাবিড় বলেছিলেন, ‘‘নিজের সেরাটা দিলেও খেলোয়াড় হিসাবে একটা ট্রফি জেতার সৌভাগ্য আমার হয়নি। আমি ভাগ্যবান এই দলের কোচ হওয়ার সুযোগ পেয়েছি। একদল দুর্দান্ত ছেলে আমার বিশ্বকাপ জেতার স্বপ্ন বাস্তবায়িত করেছে। দুর্দান্ত অনুভূতি। আমি কোনও যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য কাজ করিনি। শুধু নিজের কাজটা করার চেষ্টা করেছি। সত্যি, দুর্দান্ত একটা যাত্রা শেষ হল।’’
শনিবারই ছিল ভারতীয় দলের কোচ হিসাবে দ্রাবিড়ের শেষ ম্যাচ। সেই হিসাবে বিশ্বকাপ জয়ের জন্য দ্বিতীয় সুযোগ পেতেন না। ভরসা রেখেছিলেন ক্রিকেটারদের উপর। দ্রাবিড় বলেছিলেন, ‘‘এখন ভারতীয় দলে যে ক্রিকেটারেরা খেলছে, তারা দারুণ প্রতিভাবান। ওদের আত্মবিশ্বাস, লড়াই করার ক্ষমতা অসাধারণ। খুবই উঁচু মানের। আমি নিশ্চিত আগামী ৫-৬ বছরে ভারত আরও অনেক ট্রফি জিতবে।’’